|| খালিদ হাসান বিন শহীদ ||
বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যান্য স্বাক্ষী সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ঐতিহাসিক এ উদ্যানে সমাবেশ করেছে দেশের প্রায় সবগুলো বৃহৎ রাজনৈতিক দল। কিন্তু, জামায়াতে ইসলামী এককভাবে এ উদ্যানে সমাবেশ করেনি কখনো। অবশেষে সেই দুঃখ ঘুচল তাদের। প্রথমবারের মতো এককভাবে সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করতে যাচ্ছে তারা।
শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতের ‘জাতীয় সমাবেশ’ শুরু হবে সোহরাওয়ার্দীতে। সাত দফা দাবিতে হওয়া এ সমাবেশে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি জনসমাগম ঘটবে বলে দাবি করছে দলটির নেতাকর্মীরা।
জামায়াতের উদ্দেশ্য- বড় ধরণের সমাবেশ করে রাজনীতির মাঠে নতুনভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করা। সমাবেশে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। সমাবেশের মূল মঞ্চে জামায়াতের জাতীয় নেতা, জুলাইয়ের শহদীপরিবারের প্রতিনিধি এবং অন্যান্য দলের নেতারা থাকবেন।
জামায়াতের নেতারা জানান, সমাবেশে অসংখ্য মানুষের সমাগম উপলক্ষে অজু ও খাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা রয়েছে। ১৫টি মেডিকেল বুথ স্থাপন করা হয়েছে। সেখানেও কমপক্ষে ৫০-৬০ হাজার পানির বোতল থাকবে।
এছাড়া ৩৩টি এলইডি ডিসপ্লে, তিন শতাধিক মাইক, পর্যাপ্ত লাইটিং এবং গণমাধ্যমকর্মীদের বসার জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৮টি উপকমিটি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সমাবেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছেন।
এনএইচ/