ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আহুত সংস্কার, বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে আগামী ২৮ জুন, শনিবার, সোহরাওয়ার্দী ময়দানের মহাসমাবেশ বাস্তবায়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট ছাত্র, যুব , শ্রমিক ও পেশাজীবী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনূস আহমদ বলেন, বাংলাদেশকে স্বৈরতন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করতে দেশে মৌলিক ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করতেই হবে। পতিত ফ্যাসিবাদের সাথে জড়িতদের বিচার বাংলার বুকে হতেই হবে। এবং দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য আগামী জাতীয় নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হতেই হবে। এটাই জুলাইয়ের আকাংখা। এই আকাংঙ্খা বাস্তবায়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তারই অংশ হিসেবে আগামী ২৮ জুন ঢাকায় গণবিস্ফোরণ ঘটবে ইনশাআল্লাহ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, মহাসমাবেশ বাস্তবায়নে দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, শায়েখে চরমোনাইকে প্রধান করে ২৪ সদস্যের কেন্দ্রীয় বাস্তবায়ন কমিটি করা হয়েছে। এবং সমাবেশকে সফল করলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে ১২ টি কমিটি করা হয়েছে। সমাবেশের প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পিআর পদ্ধতির সাথে একমত পোষণ করে এমন সকল রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে দাওয়াত দেয়ার কাজ চলমান রয়েছে। তারা ইনশাআল্লাহ উপস্থিত থাকবেন।
মাওলানা ইউনুস আহমেদ উপস্থিত নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান রেখে বলেন, এই মহাসমাবেশকে সামনে রেখে দেশের প্রতিজন নাগরিকের কাছে দাওয়াত পৌছাতে হবে। পিআর পদ্ধতির সুফল মানুষকে বোঝাতে হবে। সংস্কার, বিচার ও পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের প্রতি তাদের আগ্রহের আরেকটি প্রদর্শন হতে হবে আগামী ২৮ জুন।
যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল জনাব গিয়াস উদ্দিন, সহকারী মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ এসহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমেদ মানসুর, হাজি মনির, মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ কাশফি, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরি, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ প্রমুখ।
এমএইচ/