ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেছেন, দেশের জনগণ চায় আগে সংস্কার পরে নির্বাচন। শুধু বিএনপির কথায় নির্বাচন হবে না। অন্যান্য রাজনৈতিক দল কি সংস্কারের আগে নির্বাচন চায়? চায় না। তারা চায় দেশের সংস্কার হোক, তারপর একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান। আগে সংস্কারের পূর্ণাঙ্গ সমাপ্তি হতে দিন। নষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতি দিয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণ সাধন সম্ভব নয়।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রাজধানীর ভাটারাস্থ আস-সাঈদ মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনপূর্ব সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, এড. মুস্তফা আল মামুন মনির, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, মুফতী মোঃ মাছউদুর রহমান, মুফতি নিজাম উদ্দিন, মুফতি আরমান হোসাইন, শরিফুল ইসলাম, মুফতি সাব্বির আহমাদ, মুফতি আব্দুল কুদ্দুস রশিদী, মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (অব.) আমিনুল হক তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন পরশ, আলহাজ্ব আলাউদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী সোলাইমান, মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দ্বীনি সংগঠনের দায়িত্বশীলবৃন্দ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, যুব আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের নগর উত্তর নেতৃবৃন্দ।
তিনি আরো বলেন, সংবিধান সংস্কার, নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার হওয়ার পর নির্বাচন হওয়া বাঞ্ছনীয়। সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখলে অবশ্যই ফ্যাসিবাদ, ফ্যাসিবাদের দোসর- নব্য উত্তরসূরিদের নির্বাচনে নিষিদ্ধ করতে হবে। শুধু নির্বাচন নিয়ে বাড়াবাড়ী ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের সাথে গাদ্দারি করা হবে। কারণ ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান শুধু নির্বাচনের জন্য হয়নি। যারা এখন নির্বাচন-নির্বাচন জপতেছে, তারা মূলত ভারতের প্রেসক্রিপশনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিব্রত ও ভারতকে খুশি করতে চায়।
এসএকে/