বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫ ।। ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১২ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আলেম-ওলামার ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা মৌলভীবাজারে ইসলামপন্থীদের ঐক্য ভাবনা শীর্ষক সেমিনার মজলিসের কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী নেত্রকোনায় বিজয় র‍্যালী জুলাই ঘোষণাপত্র একপক্ষীয় রাজনৈতিক প্রবন্ধ: মাওলানা আজিজুল হক ভোলায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ ও গণমিছিল  ইন্তিফাদা বাংলাদেশের আয়োজনে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত  সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল হবে: ডা. তাহের গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে উত্তরায় বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে কোরআন নিকেতন মাদ্রাসায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত গত এক বছরে অনেক সংকট ও সম্ভাবনার মধ্য দিয়ে পার করেছি : প্রধান উপদেষ্টা

নিজ ভিটাতেই শায়িত হলেন শহীদ হাসান


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

গভীর শোক আর শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় জানানো হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ হাফেজ মো. হাসানকে। রোববার (২৫ মে) সকালে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চর জব্বর ইউনিয়নে তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

এর আগে ভোরে হাফেজ হাসানের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে স্বজন, প্রতিবেশী ও স্থানীয় লোকজন ভিড় করেন।

হাসান লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ সেলিমের একমাত্র ছেলে। ১০ বছর আগে তার বাবার মৃত্যুর পর হাসানের মা মাহিনুর বেগম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আশ্রয় নেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজব্বর ইউনিয়নে। বাড়ি নির্মাণের জন্য কিনেছিলেন জমি, কিন্তু সেখানেই দাফন হয় হাসানের।

জানাজায় অংশ নেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন, সুবর্ণচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আসফার সায়মা, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও নোয়াখালী জেলা আমির ইসহাক খন্দকার, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালীর আহ্বায়ক আরিফুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।

জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ হাসানের পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দেন এবং যে কোনো প্রয়োজনে তাকে জানানোর অনুরোধ করেন।

জানাজায় জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী জেলা শাখার আমির ইসহাক খন্দকার বলেন, যারা শাহাদাতবরণ করেন তারা পরকালে সর্বোচ্চ পুরস্কারপ্রাপ্ত। দেশে আর কোনো ফ্যাসিস্ট যাতে বাংলাদেশে কখনো জন্ম নিতে না পারে শহীদ হাসানের লাশকে সামনে রেখে তিনি সবার উদ্দেশে আহ্বান জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালীর আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে হাসানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা অনেক লজ্জিত হাসানের পরিবারের পাশে যেভাবে থাকা দরকার সেভাবে থাকতে পারি নাই। তার বাড়িতে বসতভিটা নাই। দুই বোনের এক ভাই সে। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তার মা ও বোনরা ভেঙে পড়েছেন। তার নতুন জায়গায় বাড়ি করার কথা। সেখানেই নতুন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। আমরা চাই তার পরিবারের পাশে সরকার থাকুক। সব প্রয়োজন পূরণ করুক।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট চট্টগ্রামে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন হাসান। চট্টগ্রাম, ঢাকা ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন হাসপাতালে দীর্ঘ ৯ মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ২২ মে রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ