বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
গত ৯ মাসে ৩০ মিলিয়ন ডলার জাফরান রপ্তানি করেছে আফগানিস্তান পাসপোর্টে ৮ মাসেও বহাল হয়নি ‘একসেপ্ট ইসরাইল দুই উপদেষ্টার পদত্যাগে খালি তিন মন্ত্রণালয়: দায়িত্ব পেতে পারেন যারা হজযাত্রীদের প্লেনের টিকিটে শুল্ক প্রত্যাহার কোরআন প্রতিযোগিতায় ফের হাফেজ আনাসের বিশ্বজয় ১৮ ঘণ্টা পরেও উদ্ধার হয়নি ৩০ ফুট গভীরে আটকে পড়া সেই শিশু আগামী নির্বাচনে ইসলামকে বিজয়ী করতে হবে: পীর সাহেব চরমোনাই নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে কোরআন কনফারেন্স ও সিরাহ প্রদর্শনী চব্বিশের বিপ্লবের ফসল ঘরে তুলবই: ইবনে শাইখুল হাদিস জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে হাতপাখার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে: পীর সাহেব চরমোনাই

পাকিস্তানে ভয়াবহ হামলা, ৬ সেনা নিহত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পাকিস্তানের আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সশস্ত্র সংঘবদ্ধ মিলিশিয়াদের হামলায় ছয় সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও তিন জন পুলিশ সদস্য। আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম। খবর রয়টার্সের।

ঘটনাটি ঘটেছে সাবেক উপজাতীয় এলাকা কুররম জেলায়। সোমবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চলা এ হামলায় নিরাপত্তা চৌকিটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামলাকারীরা আকস্মিকভাবে গুলি ছুড়ে অবস্থান নেওয়া সেনা ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ধারাবাহিক আক্রমণ চালায়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সম্পর্ক ক্রমেই উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠছে। গত অক্টোবরে সীমান্তে তীব্র সংঘর্ষে দুই পক্ষের কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়, যা ২০২১ সালে তালেবান সরকার ক্ষমতায় ফেরার পর সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ইসলামাবাদ অভিযোগ করে আসছে যে, পাকিস্তানে বাড়তে থাকা  হামলার জন্য আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করে পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) ও অন্যান্য গোষ্ঠী। তবে কাবুল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা সমস্যা তাদের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতার ফল।

মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠীই কুররমের এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে দীর্ঘদিন ধরেই এ অঞ্চলে সক্রিয় টিটিপি বা পাকিস্তানি তালেবান প্রায় দুই দশক ধরে রাষ্ট্রবিরোধী সশস্ত্র কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের পার্বত্য সীমান্তজুড়ে এসব  গোষ্ঠীর ঘাঁটি রয়েছে।

দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে কাতার, তুরস্ক ও সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় তিন দফা শান্তি আলোচনা হলেও কোনো স্থায়ী সমাধান পাওয়া যায়নি। ফলে সীমান্তে উত্তেজনা দমে গেলেও যে কোনো মুহূর্তে নতুন সংঘর্ষের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।

কাবুল ও ইসলামাবাদ একসময় ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারী অস্ত্রের ব্যবহার এবং বেসামরিক হতাহতের ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্ক গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত শুক্রবারের সংঘর্ষেও অন্তত পাঁচ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

যদিও আফগান তালেবান নেতৃত্ব টিটিপির সঙ্গে ‘অপারেশনাল সম্পর্ক’ থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে, তবে আদর্শগতভাবে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বহু মিল রয়েছে বলেই আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মত।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ