বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যৌন হয়রানি: নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন ৯ জেলায় জনবল নিয়োগ দিচ্ছে আকিজ গ্রুপ  ‘আমেরিকা কিছুটা সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে’, জোহরান মামদানির জয়ে ট্রাম্পের প্রথম প্রতিক্রিয়া চব্বিশের যুবশক্তিকে নিয়েই ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে চাই মাসনা মাদরাসার  বার্ষিক মাহফিল—আত্মশুদ্ধি ও রূহানিয়্যাতের মহামিলন সৌদিতে সভা-সমাবেশ নিয়ে কঠোর সতর্কতা বাংলাদেশ দূতাবাসের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় জোহরান মামদানির প্রধান উপদেষ্টার কাছে জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ দল স্মারকলিপি দেবে আজ প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে তামাক নিষিদ্ধের ঘোষণা দিল মালদ্বীপ 'বাঙ্গরাবাজার থানা’ উপজেলা হলে খুলে যাবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার

ট্রাম্পের কর-বিলকে 'জঘন্য' বললেন ইলন মাস্ক, রিপাবলিকানদের হুঁশিয়ারি


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত কর ও ব্যয় হ্রাস সংক্রান্ত বিল নিয়ে ফের তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ইলন মাস্ক। শনিবার সামাজিক মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, এই বিল যুক্তরাষ্ট্রে লাখ লাখ কর্মসংস্থান ধ্বংস করতে পারে এবং ভবিষ্যত শিল্প খাতের বিকাশে বড় বাধা তৈরি করবে।

মাস্ক লিখেন, “সিনেটে বিবেচনাধীন বিলটি আমেরিকার অর্থনীতি ও প্রযুক্তি খাতে কৌশলগত ক্ষতি ডেকে আনবে। পুরনো শিল্পগুলোর জন্য প্রণোদনা থাকলেও, উদীয়মান শিল্পগুলোকে কার্যত ধ্বংস করে দিচ্ছে এটি।”

তিনি বিলটিকে আখ্যা দেন "রাজনৈতিক আত্মহত্যা" হিসেবে, যা রিপাবলিকান পার্টির জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেন।

এর আগেও মাস্ক ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)-এর প্রধান পদ থেকে পদত্যাগের পর একাধিকবার বিলটির সমালোচনা করেন। মে মাসে সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেছিলেন, “বিলটি ঘাটতি কমানোর পরিবর্তে বরং বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে সরকারের দক্ষতা হ্রাস পাবে এবং বাজেট ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে।”

তিনি সেসময় বলেন, “একটা বিল বড় হতে পারে বা আকর্ষণীয় হতে পারে, কিন্তু দুইটা একসাথে নয়।”

এক পর্যায়ে ওভাল অফিসে একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর মাস্ক তার ভাষায় আরও তীব্র হয়ে ওঠেন। তিনি এক্স-এ পোস্ট করেন:
“এটা একটা জঘন্য আবর্জনা। যারা এর পক্ষে ভোট দিয়েছে, তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত।”

এমনকি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যারা আমেরিকান জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তারা যেন আগামীতে চাকরিতে না থাকেন, আমরা তা নিশ্চিত করব।”

মাস্কের এমন মন্তব্যের জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি মাস্কের অবস্থান দেখে ‘হতাশ’ হয়েছেন। এর পর থেকেই দুজনের মধ্যে বাকযুদ্ধ তীব্র রূপ নেয়, যা সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দেয়।

সূত্র: সিবিএস নিউজ

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ