গাজায় ইসরায়েলের টানা বিমান ও স্থল হামলায় আরও ১৪ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছে। রোববার (২৯ জুন) বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, গাজার চারটি এলাকায় চালানো বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত হয়। এছাড়া রাফা শহরের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে বন্দুক হামলায় আরও একজন প্রাণ হারান।
বাসাল আরও বলেন, রাজধানী গাজার জয়তুন এলাকায় একটি বাড়িতে বিমান হামলা চালিয়ে সেটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলা হয়। এতে দুই শিশু নিহত হয় এবং ২০ জন আহত হয়। ওই পরিবারের সদস্য আবদেল রহমান আজম বলেন, “বিস্ফোরণের শব্দ শুনে ছুটে গিয়ে দেখি বাড়িটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, আগুন জ্বলছে। আমরা আহত ও শহীদদের উদ্ধার করেছি। কোনো ধরনের সতর্কতা ছাড়াই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। প্রতিদিন আতঙ্ক নিয়ে ঘুমাতে যাচ্ছি, জানি না জীবিত উঠে আসতে পারব কি না।”
অন্যদিকে, দক্ষিণের খান ইউনুস শহরের একটি আশ্রয়শিবিরে ড্রোন হামলায় এক শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়। রাফা শহরের ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের সামনে বন্দুক হামলায় নিহত হন আরও একজন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ হামলার বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও বলেছে, তারা ২০২৩ সাল থেকে গাজায় হামাসের সশস্ত্র অবকাঠামো ধ্বংস করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, গাজার উত্তরের কিছু এলাকায় দ্রুত সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এক বিবৃতিতে জানান, এসব এলাকায় তীব্র সামরিক অভিযান চালানো হবে এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হবে।
হামাস শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সাল থেকে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৬ হাজার ৪১২ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। জাতিসংঘ এই সংখ্যাকে বিশ্বাসযোগ্য বলে উল্লেখ করেছে।
সূত্র: এএফপি
এমএইচ/