শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ।। ২০ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৫ জিলকদ ১৪৪৬


নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা ভেস্তে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : নির্বাচনে যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রিত থাকবে কি না, এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার  বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), বাংলাদেশ টেলিকমিনিকেন্স কোম্পানি লি. (বিটিসিএল), টেলিযোগাযোগ অধিদফতর এবং মোবইল অপারেটরগুলোর সঙ্গে বৈঠকে করে নির্বাচন কমিশন।

সূত্র জানায়, বৈঠকে যে মতামত এসেছে, এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা অনেকটা ভেস্তে গেছে।

বিটিআরসি বলেছে, ফেসবুক বা অন্য যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে তাদের কোনো চুক্তি নেই। ফলে এটা চাইলেও তারা পারে না। তবে মোবাইল অপারেটর কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুনির্দিষ্ট অনুরোধ করলে তারা তা রাখে। এক্ষেত্রে তাদের এটা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

টেলিযোগাযোগ অধিদফতর জানিয়েছে, কোনো কনটেন্ট নিয়ে কোনো আপত্তি থাকলে, সেটা বন্ধ করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার রোধে একটি নির্দেশনা জারি করতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর সম্ভব হচ্ছে না। কেননা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া মেলেনি।

বিগত কয়েক বছরের ভোটের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রার্থী, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন বা সরকারের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ মহল ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালান। অনেক সময় সহিংসতা ছড়িয়ে দিতেও এই মাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়।

অন্যদিকে মোবাইল ‍অপারেটররা জানিয়েছে, ভোটের দিন ডাটা বন্ধ রাখা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কেননা, ইন্টারনেটের ব্যবহার এখন এতো বেড়ে গেছে, এটা বন্ধ করলে টেলিভিশনগুলো সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া সাধারণ মানুষ বিভিন্ন পরিষেবাও ওইদিন নিতে পারবে না।

নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অবস্থায় সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে তথ্য ও প্রতিবেদন প্রকাশের ওপর যে নির্দেশনা জারি পরিকল্পনা ছিল, তা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা নেই। বাস্তবতাও অনেক ভিন্ন। এতো বিশাল মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। তবে অপপ্রচারমূলক কনটেন্ট নিয়ে কাজ করা যেতে পারে।

আরো পড়ুন : আজ মালয়েশিয়ায় জাতীয় নির্বাচন : মাহাথির জিতবেন কী?

এসএস


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ