রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী আরও দুই নেতা যেসব দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে  ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া জাগো হে কওমি তারুণ‍্য! রাতেই ঢাকাসহ তিন অঞ্চলে ঝড়ের আভাস অর্থনীতির মূল লক্ষ্য হতে হবে উদ্বৃত্ত সৃষ্টি: বাণিজ্য উপদেষ্টা চবির আরবি বিভাগের নতুন সভাপতি অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ডেঙ্গুতে একদিনে ১২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৪০ সিরাতকে ধারণের মাধ্যমেই সত্যিকার পরিবর্তন সম্ভব: ধর্ম উপদেষ্টা সিরাতুন্নবী (সা.) সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার লাইভ ড্র অনুষ্ঠান ২৩ সেপ্টেম্বর

সন্তান বাধ্য রাখতে যা করবেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শাহনাজ শারমিন

সবরকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে মানুষ করার জন্য আজকাল অনেক মা-বাবাই একটি মাত্র সন্তান চাইছেন। আবার তাদের মনে কিছুটা শঙ্কাও থেকে যাচ্ছে একমাত্র সন্তান মানেই বুঝি একরোখা, জেদি আর বদমেজাজি। একমাত্র সন্তানকে সঠিকভাবে মানুষ করাটাই জীবনের একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাছাড়া ভাইবোন না থাকায় একমাত্র সন্তানকে ঘিরে থাকে অনেক একাকিত্ব।

অনেক সময় সন্তান তখন বাধ্য থাকতে চায় না। ফলে হতাশ হয়ে পরেন বাবা-মায়েরা। বাবা-মায়েরা মাঝে মাঝে বুঝে উঠতে পারেন না তাদের শিশু সন্তানেরা কেন মুখে মুখে তর্ক করে, কেনইবা শান্ত থেকে ক্রমশ অবাধ্য হয়ে ওঠে। সঠিক কারণ বুঝতে না পারার কারণে অবিভাবকেরা শিশুদের সঙ্গে এমন আচরণ করেন, যার ফলে হিতে বিপরীত হয়।

কিছু কিছু শিশুর নিজস্বতা থাকে, সব কিছুতেই নিজের মতামত থাকে। আর তারা তাদের সেই মত ব্যক্ত করতে চায়। নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করতে চায়। তখন তারা হয়ে ওঠে জেদি। তখন সব খারাপ কিছু যা তাদের ভালো লাগতে শুরু করে আর ভালোটা খারাপ লাগতে থাকে।

এই অবস্থায় বাবা-মা কি করবেন? হতাশ তখন তারা। কিন্তু শিশুর এমন আচরণ থেকে তাকে শোধরানোর উপায় কী?

একেবারেই কথা শুনছে না

এক্ষেত্রে অবিভাবকদের বুঝতে হবে শিশু বড় হচ্ছে তার চারপাশের পৃথিবী দেখতে দেখতেই। তার মনেও হাজারো কিছু জানতে চাওয়া, নানা আবেগ-অনুভুতি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সেগুলো সে এখনো তার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সঠিক প্রয়োগ করতে শেখেনি। এক্ষেত্রে যুক্তি দিয়ে তার আবেগ-অনুভুতির প্রয়োগ শেখান।

বাজে কথা বলতে শিখছে
টিভি দেখতে শিশুকে নিষেধ করতে গেলেই সে তার খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। কিন্তু টিভি দেখে এমন এমন বাজে কথা বলছে যাতে অন্যদের সামনে অপ্রস্তুত হয়ে যেতে হচ্ছে। একটা কথা মাথায় রাখবেন, টিভি দেখে যেসব খারাপ কথা বলতে শিখেছে, সে কিন্তু সেসব কথার মানে না বুঝেই বলছে। এক্ষেত্রে ওকে বোঝান ও যে কথাটা বলছে সেটা টিভির নেতিবাচক লোকটার বলা কথা। টিভিতেও যেমন নেতিবাচক লোকটাকে সবাই ঘৃণা করে, ও সেসব কথা বললে ওকেও সবাই ঘৃণা করবে।

রাগ হয়ে যা মুখে আসছে তাই বলছে
এমন অভিযোগের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায়, এই তুই-তোকারি ব্যাপারটা কিন্তু ওরা বাবা-মা কিংবা আশেপাশের পরিবেশ থেকেই শিখে নিচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় শিশু হয়তো বাবা-মাকে আদর করে তুই সম্বোধন করছে, তখন তুই সম্বোধন শুনে তারা হাসছেন। কিন্তু যখনই রেগে গিয়ে শিশু তুই বলছে তখনই তারা তা মানতে পারছেন না। বড়দের ব্যবহারিক এই অসামঞ্জস্য শিশুর মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। যার থেকেই তারা অভব্য, অবাধ্য হয়ে পড়ে। তাই এমন বিপরীত ব্যবহার শিশুর সঙ্গে করবেন না।

কিছুতেই পড়তে চায় না

এমন অভিযোগ থেকে অনেক বাবা-মা শেষ পর্যন্ত শিশুর গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধাবোধ করেন না। শিশুর গায়ে হাত তোলা কখনো তার জিদ সংশোধনের পদ্ধতি নয়। এতে জিদ আরো বেড়ে যায়। তাকে বোঝাতে হবে সে যদি লেখাপড়া না করে তাহলে তাকে আর ওর স্কুলে পড়তে দেবে না। অন্য স্কুলেও তাকে ভর্তি করবে না। সে তার স্কুলের বন্ধুদেরও হারাবে। এসব কথা বলে তার পড়ার আগ্রহ তৈরি করুন।

বাজে আচরণ করছে

কাজের লোকের কাছ থেকেও অনেক কর্মরত দম্পতি অভিযোগ পেয়ে থাকেন, শিশু কাজের লোকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। এসব ক্ষেত্রে শুধু কাজের লোকের কথা শুনেই কিন্তু শিশুকে অযথা বকাবকি করা ঠিক নয়। শিশুর থেকেও জানতে হবে কেন সে এমন আচরণ করছে। তার কথা না শুনেই তাকে বকাঝকা করলে তার রাগ-অভিমানগুলো বাড়তে থাকবে এবং সে আরো অবাধ্য হয়ে উঠবে।

যে কোনো কিছুর বায়না
অনেক শিশুই এমনটি করে থাকে। শিশু যখন বায়না করে তখন তাকে মুখের ওপর কিনে দেব না বলবেন না। কারণ ওরা সবসময় নিজের ইচ্ছার স্বীকৃতি পেতে চায়। ওকে বুঝিয়ে বলুন, ওকে পরে কিনে দেবেন। দেখবেন, দুদিন বাদেই ও ভুলে গেছে ওর আবদার।

আপনার শিশুকে গড়ে তোলার দায়িত্ব যেহেতু আপনারই সেহেতু শিশুকে শিশুর মতো করে বুঝুন। তার মতো করে মিশুন। তার আবেগ-অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করুন। তখন দেখবেন কোনো সমস্যাই আর কঠিন থাকবে না।

/এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ