|| মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ||
ভিটামিন ডি মানবদেহের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন, যা হরমোনের মতো কাজ করে। এটি শুধু হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় নয়, বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, স্নায়ুতন্ত্র, ও মেটাবলিজমেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ভিটামিন ডি-এর উপকারিতা
হাড়ের গঠন ও শক্তি বৃদ্ধি: ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে। এর অভাবে হাড় দুর্বল হয়ে যায়, শিশুদের রিকেটস এবং প্রাপ্তবয়স্কদের অস্টিওমালাসিয়া ও অস্টিওপরোসিস হতে পারে।
ইমিউন সিস্টেম সক্রিয় রাখে: সংক্রমণ প্রতিরোধে ভিটামিন ডি সহায়তা করে। কোভিড-১৯ মহামারির সময়ও এর গুরুত্ব আলোচনায় ছিল।
হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
মুড ও মানসিক স্বাস্থ্য: সিজনাল অ্যাফেকটিভ ডিজঅর্ডার (SAD) ও বিষণ্নতা কমাতে ভিটামিন ডি উপকারী।
ভিটামিন ডি কোথা থেকে পাওয়া যায়?
সূর্যের আলো: সকালে সূর্যের আলো ভিটামিন ডি তৈরিতে প্রধান উৎস। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ দিন ১৫–৩০ মিনিট রোদে থাকলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি হতে পারে।
খাদ্য: চর্বিযুক্ত মাছ (স্যামন, টুনা, সার্ডিন), ডিমের কুসুম, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য,ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ সিরিয়াল ও সয়ামিল্ক ভিটামিন ডি’র উৎস।
ঘাটতির লক্ষণ
- হাড় ও পেশিতে ব্যথা
- অতিরিক্ত ক্লান্তি
- বিষণ্নতা
- হাড় ভেঙে যাওয়া
- শিশুর ক্ষেত্রে মাথার খুলি নরম থাকা
ভিটামিন ডি শরীরের জন্য অপরিহার্য। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, সূর্যালোক গ্রহণ ও প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে ভিটামিন ডি-এর চাহিদা পূরণ করলে সুস্থ, শক্তিশালী ও রোগমুক্ত জীবন যাপন সম্ভব
এসএকে/