মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কেউ যেন না বলে, ভোট দিতে পারিনি : প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলার অবনতি নির্বাচনী পরিবেশে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে: জোনায়েদ সাকি নুরুল হক নূরের সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি ইসলামী আন্দোলনের গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইয়েমেনে জাতিসংঘের শতাধিক শান্তিরক্ষী গ্রেফতার দেশি-বিদেশি শতাধিক ইসলামি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে ইসলামি বইমেলায় শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালালেও শয়তানি ছাড়েনি : মির্জা ফখরুল জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ঐকমত্য ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না ৭ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না : আবদুল হালিম

পরিদর্শনে বেরিয়ে এলো মাদরাসার ভয়াবহ অনিয়ম, ইউএনও’র ক্ষোভ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের দারুল ফালাহ বালিকা মাদরাসা পরিদর্শনে গিয়ে ভয়াবহ অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) শরীফপুর ইউনিয়নের দারুল ফালাহ বালিকা মাদরাসা পরিদর্শনে যান ইউএনও। পরে তিনি ফেসবুক আইডিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ইউএনও লিখেন- ‘একটি প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কিছু অসাধু শিক্ষক কিভাবে একটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করতে পারে তা শরীফপুর ইউনিয়নের দারুল ফালাহ দাখিল বালিকা মাদরাসায় গেলে দেখতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানটিতে ১৫ জন এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছে। গত বছর এই প্রতিষ্ঠান থেকে ৪ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সবাই ফেল করে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি মুরগি/গরুর খামারে ক্লাস চলছে। প্রতি শ্রেণির জন্য বরাদ্দ ১টি বা সর্বোচ্চ ২টি বেঞ্চ। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কয়েকমাস আগে উপজেলায় দেখা করতে এলে তাদের কতজন শিক্ষার্থী রয়েছে তার তথ্য দিতে বললে কেউ বলতে পারেনি। পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হওয়ার পর তাদের কোন ক্লাসে কতজন শিক্ষার্থী রয়েছে তার তালিকা জমা দিতে বললে তারা প্রায় ২৪০ জনের তালিকা দেয়। সরেজমিনে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত মাত্র ২৭ জন শিক্ষার্থীকে পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীদের শিক্ষকরা মিথ্যা বলা শিখিয়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সকলে অবলিলায় মিথ্যা বলে। তাদের প্রতিটি কথাই মিথ্যা।

এই প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্তির সময় মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিল। টাকার বিনিময়ে যারা প্রতিষ্ঠাকালীন ছিল তাদের বাদ দিয়ে অন্যদের নিয়োগ দেয়। নিজস্ব জায়গা নিয়েও সমস্যা আছে। এলাকার মানুষের সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ।

একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মিথ্যার ওপর ভর করে কখনো চলা উচিত নয়। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের কারণে অন্যদের বদনাম হয়। এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী দায়ী সকলের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ