বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২ পৌষ ১৪৩২ ।। ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহকে একটি প্রাডো ব্র্যান্ডের গাড়ি উপহার দিয়েছেন এক ভক্ত তারেক রহমানের ফ্লাইটে দেশে ফিরতে নেতাকর্মীদের হিড়িক, সব টিকিট বিক্রি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভারতের 'নসিহত' অগ্রহণযোগ্য: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে ‘মামলা না থাকলেও’ গ্রেপ্তারের নির্দেশ ৬ দফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ বিবৃতি দিল ছাত্রশিবিরসহ ১৮ ছাত্রসংগঠন ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু একুশে বইমেলা আশার বাণী নয়, প্রধান উপদেষ্টার কাছে মানুষ পদক্ষেপ দেখতে চায়: অধ্যক্ষ ইউনুস মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শীর্ষ আলেমদের সমর্থন এমন কিছু ঘটবে যা সারাদেশ কাঁপাবে, বান্ধবীকে শুটার ফয়সাল দাড়ি-টুপিকে রাজাকারের প্রতীক বানানোর ইস্যুতে হেফাজতের তীব্র প্রতিবাদ

মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহকে একটি প্রাডো ব্র্যান্ডের গাড়ি উপহার দিয়েছেন এক ভক্ত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত (হাতপাখা) প্রার্থী মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহকে একটি প্রাডো ব্র্যান্ডের গাড়ি উপহার দিয়েছেন এক ভক্ত। নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের জন্য তাকে গাড়িটি উপহার দিয়েছেন বলে জানা গেছে।  

গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা থেকে ড্রাইভ করে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের আউলিয়ানগরস্থ ওই এমপি প্রার্থীর বাড়িতে গাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। তবে নাম-পরিচয় প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করেন ওই ভক্ত।

মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান। এর আগে তিনি একটানা ওই উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি হজরত হাফেজ্জী হুজুর (রহ.)-এর মেয়ের জামাতা ও খলিফা।

আল্লাহওয়ালা, সৎ ও জনদরদি একজন আলেম চেয়ারম্যান হিসেবে এ অঞ্চলের সর্বশ্রেণির মানুষের কাছে তিনি বেশ সমাদৃত।

চালচলনে, পোশাক-আশাকে তিনি একেবারে সাদামাটা মানুষ হলেও জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনে খুবই কঠোর। এলাকায় তিনি বেশ জনপ্রিয় আলেম নেতা। একজন আলেম চেয়ারম্যান হিসেবে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে তিনি জনপ্রিয় ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি।

৭৫ বছর বয়সী প্রবীণ এ আলেম মানুষের কাছে পীর সাহেব কমলনগর নামে পরিচিত।

দলীয়ভাবে তিনি চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। একজন ইসলামী রাজনৈতিক নেতা ও বারবার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে সারা দেশে তার রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সমমনা ৮ দলের প্রার্থী হয়ে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

স্থানীয়রা জানান, প্রবীণ এই জনপ্রতিনিধির নির্বাচনে যে টাকা ব্যয় হয়, ওই টাকা নির্বাচনের সময় বিভিন্নজনের কাছ থেকে পাওয়া সহযোগিতা তার চেয়েও বেশি পান। তবে এক টাকাও কাউকে তিনি দিতে বলেননি।

মানুষ নিজের ইচ্ছাতেই দিচ্ছেন। আর অনেকেই নিজ উদ্যোগেই ব্যক্তিগতভাবে তার নির্বাচনের সময় শ্রম দিচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে হুজুরের ভক্ত-মুরিদানরা আরও গাড়ি ও টাকা নিয়ে স্বেচ্ছায় শ্রম দেওয়া শুরু করবে।

মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমি ও আমার নেতাকর্মীরা যে নিয়তে নামাজ পড়ি, রোজা রাখি অন্যান্য ইবাদত করি, ঠিক সেই নিয়তেই রাজনীতি করি। রাজনীতিটাকে আমরা ইবাদত মনে করেই করি। তাই মানুষের সেবা করাও একটা ইবাদত। জনসেবা ও জনগণের খেদমত করাটা অন্যান্য ইবাদতের চেয়ে উত্তম ইবাদত। মানুষ ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে চায়। আর আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হলো জনসেবা করা।

তিনি বলেন, দুইবার ইউপি চেয়ারম্যান ছিলাম, একবার উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছি। ঘুষ-দুর্নীতি চিরতরে উৎখাত করতে এবার সংসদ নির্বাচন করব, ইনশাআল্লাহ। কিছু আল্লাহর বান্দা হয়ত দীনি কাজে শরীক হতে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। আমার নির্বাচন আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য। এতে দুনিয়ার কোনো উদ্দেশ্য নেই।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ