মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৪ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
আবারও ‍খুলে দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত স্বাধীন দেশে থেকেও আমরা ছিলাম পরাধীন: ফয়জুল করীম নোয়াখালীতে কোরআন তালিমে হামলার প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ইসরায়েলকে কঠিন পরিণতির হুঁশিয়ারি ইয়েমেনের  সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী/ভাতা পুনঃনির্ধারণ: অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন এবার এক টাকা কেজি গরুর গোশত বিক্রির ঘোষণা এমপি প্রার্থীর! ‘দায়সারা গোছের তামাশার নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না’ নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজন করার উদ্যোগ নিন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল শায়খ আহমাদুল্লাহর আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন সমাজে নৈতিক অবক্ষয় ও তরুণ প্রজন্মের দিকভ্রান্তি

তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, বন্যা আশঙ্কায় নদীপাড়ে আতঙ্ক


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। রোববার (২০ জুলাই) সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার মাত্র ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা।

স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, পানি আরও বাড়তে থাকলে যে কোনো সময় বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এ অবস্থায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাদল বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। অনেক চরের ফসলি জমি ইতোমধ্যে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।”

স্থানীয় বাসিন্দা কুদ্দুস মিয়া বলেন, “আমরা তিস্তা পাড়ের মানুষ, প্রতিনিয়ত ভাঙন আর বন্যার ভয় নিয়ে বাঁচি। বর্ষা এলেই ভারতের গজলডোবা ব্যারেজ থেকে হঠাৎ পানি ছাড়া হয়, তখনই তিস্তা ভেসে যায়।”

তিস্তা ব্যারেজ কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম জানান, “উজানের ঢল অব্যাহত রয়েছে। তাই রোববার ভোর থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানি বিপদসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে পানি নিয়ন্ত্রণে।”

তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, “আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। চরের মানুষদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আশ্রয়কেন্দ্রও খুলে দেওয়া হবে।”

এদিকে বন্যার শঙ্কায় নদীপাড়ের মানুষজন তাদের ঘরবাড়ি ও গবাদিপশু রক্ষায় নানা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ত্রাণ বিভাগও দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ