আজ ঢাকায় পালিত হবে ‘মার্চ ফরম গাজা’ কর্মসূচি। ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদ জানাবে লাখো মানুষ। বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই জমায়েত হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই মানুষের ঢল নেমেছে। দলে দলে মানুষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে আসছেন। যারা আসছেন তাদের প্রত্যেকের হাতে রয়েছে দেশের পতাকা ও ফিলিস্তিনের পতাকা।
সবার লক্ষ্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, সেখানেই গাজার নিরস্ত্র জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ, বিশ্বজনমত গঠন এবং মানবিক মূল্যবোধের পক্ষে সোচ্চার হওয়াই লক্ষ্য সবার। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে গোটা বিশ্বেই। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ এর ব্যানারে আয়োজিত হচ্ছে ‘মার্চ ফর গাজা।
’ ইতোমধ্যে মঞ্চ তৈরিসহ বাকি প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। বিকেল তিনটা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জমায়েত শুরু হবে। যেখানে অল্প কিছু বরেণ্য আলেম ও অন্য অতিথিরা বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাবেন। সব রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক দলমতের মানুষের সম্মিলিত স্রোতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল নামবে এমন প্রত্যাশা আয়োজকদের।
এতে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, হেফাজতে ইসলাম ছাড়াও জাতীয় দলের ক্রিকেটার, অভিনেতা, তাবলিগ জামাত, হাইয়াতুল উলইয়া, বেফাকুল মাদারিস, দারুন্নাজাত মাদরাসা, খেলাফত মজলিশ, খেলাফত আন্দোলনের মতো রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব উপস্থিত থাকবেন।
‘মার্চ ফর গাজা’ এর পথ নির্দেশনা স্টার্টিং পয়েন্ট ১। বাংলামোটর। প্রবেশ পথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা গেইট (শাহবাগ হয়ে) স্টার্টিং পয়েন্ট ২। কাকরাইল মোড়। প্রবেশপথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেইট (মৎস ভবন হয়ে) স্টার্টিং পয়েন্ট ৩। জিরো পয়েন্ট। প্রবেশ পথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঢাবির টিএসসি গেইট (দোয়েল চত্বর হয়ে) স্টার্টিং পয়েন্ট ৪। বখশীবাজার মোড়। প্রবেশপথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি.এস.সি গেইট (শহীদ মিনার হয়ে) স্টার্টিং পয়েন্ট ৫। নীলক্ষেত মোড়। প্রবেশ পথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি এস সি গেইট (ভিসি চত্বর হয়ে) বিশেষ নির্দেশনাসমূহ টিএসসি মেট্রো স্টেশন ওই দিন বন্ধ থাকবে। সকল পরীক্ষার্থীদের জন্য সকল রাস্তা বিশেষভাবে উন্মুক্ত থাকবে।
পরীক্ষার্থীদেরকে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়া এবং যেকোনো প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা নেয়ার অনুরোধ রইলো। সাধারণ দিক নির্দেশনা ১. অংশগ্রহণকারীরা নিজ দায়িত্বে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন পানি, ছাতা, মাস্ক সঙ্গে রাখবেন এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখবেন। ২. যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। ৩. রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন, সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করুন। শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। ৪. দুষ্কৃতিকারীদের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সক্রিয় থাকুন। প্রতিরোধ গঠনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা গ্রহণ করুন।
এনএইচ/