শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ।। ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৪ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
মুসলিম সমাজের দুর্ভাগ্য অনুসারীদের নিয়ে হেফাজতের মহাসমাবেশে থাকবেন মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী মদিনায় প্রথম বাংলাদেশি হাজির মৃত্যু আগামী সাত মাস বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : প্রেস সচিব হেফাজতের মহাসমাবেশে ছারছীনার পীরের সমর্থন মক্কায় বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির সতর্কতা, হজযাত্রীদের নিয়ে শঙ্কা হার্ভার্ডের ৯২ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন  যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু আলোচনা স্থগিত যারা পালিয়ে গেছে, তাদের এদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই: হাসনাত আবদুল্লাহ গাজায় কমপক্ষে ৩১ ফিলিস্তিনি শহীদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে ‘পরিস্থিতি বিপর্যয়কর’

প্রাইমারি স্কুলের দরজা-জানালা বিক্রির চেষ্টা, পালালেন প্রধান শিক্ষক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার সদর উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দরজা-জানালা খুলে বিক্রি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়েন আব্দুল হান্নান নামে প্রধান শিক্ষক। মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার পূর্ব কূপতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান কৌশলে পালিয়ে যান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ, শ্রেণিকক্ষ এবং বাথরুমের মোট চারটি লোহার ও একটি প্লাস্টিকের দরজা মিস্ত্রিদের দিয়ে খুলে ফেলেন। এরপর সেগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে একটি ভ্যানে তুলে নিতে গেলে গ্রামবাসী তাকে আটকে ফেলেন।

তবে ঘটনার সময় উত্তেজিত জনতার উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়ে যান। পরবর্তীতে দরজাগুলো স্থানীয় ইউপি সদস্য মুরাদ মিয়ার জিম্মায় রাখা হয়।

গ্রামবাসী এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাদের দাবি, একজন প্রধান শিক্ষক হয়ে বিদ্যালয়ের সম্পদ বিক্রির চেষ্টা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও আইনবিরোধী কাজ।

কুপতলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মুরাদ মিয়া বলেন, আমরা দরজাগুলো উদ্ধার করে জিম্মায় রেখেছি। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এই ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গ্রামবাসী দ্রুত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।‌ এ ধরনের কর্মকাণ্ড একজন শিক্ষকের কাছে কখনো প্রত্যাশিত নয়। প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপই কেবল শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ ও গ্রামবাসীর আস্থা পুনঃস্থাপন করতে পারে।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ