বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭


বাউলদের জীবনাচার ও বিকৃত যৌনাচার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

||আরিফ রব্বানী||

বাউলদের জীবনাচার ও বিকৃত যৌনাচার নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। এ সুযোগে আমিও কয়েকটি কথা বলে ফেলি।

আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় বিশিষ্ট একজন আইনজীবীর কাছে একবার এক মহিলা এলেন আইনি পরামর্শের জন্য। মহিলার ব্যাংকার স্বামী একজন লালনভক্ত। শুধু ভক্ত নয় রীতিমতো বাউল। বাউল কমিনিউটির সক্রিয় সদস্য। তাদের বিভিন্ন প্রোগ্রামের নিয়মিত পার্টনার।

তো, ঘটনা হলো—বাউল বিধান অনুযায়ী স্ত্রী-কন্যাকে পরস্পরের সাথে শেয়ার করা নাকি তাদের ধর্মীয় পবিত্র দায়িত্ব। বিভিন্ন প্রোগ্রামে তারা একে অপরের স্ত্রী-কন্যার সাথে দৈহিকভাবে মিলিত হয়। এই মহিলা এ পর্যন্ত চল্লিশ জনের বেশি বাউল সাধকের সাথে বিভিন্ন সময় এ ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করেছেন।

সমস্যা হলো এখন তার স্বামী তাদের কলেজ পড়ুয়া মেয়েকেও মহান বাউল সাধকদের সেবায় উৎসর্গ করতে চাচ্ছেন। মা হিসেবে মহিলা এতে রাজি হচ্ছেন না। কিন্তু স্বামীকে কোনোভাবেই ম্যানেজ করতে পারছেন না। শেষে আইনজীবীর কাছে আসতে বাধ্য হলেন।

এটা গল্প নয়। বাউলদের আরও যেসব বিকৃত যৌনাচারের কথা প্রমাণসহ বিভিন্নজন আলোচনা করছেন তাতে এই ঘটনা একেবারে নগণ্য। সেগুলো আলোচনা করছি না। আধ্যাত্মিকতা, মরমিবাদ, গান ও মানবতাবাদের মোড়কে কোরআন-হাদিসকে বিকৃত করে উপস্থাপন করা বাউলদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ইসলামি বিভিন্ন পরিভাষা ব্যবহার করলেও তাদের ধর্ম সম্পূর্ণ ভিন্ন। বাউল সংস্কৃতিকে যারা বাংলাদেশের চিরায়ত সংস্কৃতি হিসেবে পুজো করেন তারাই কিন্তু আবার ইসলামি সংস্কৃতিকে বহিরাগত সংস্কৃতি মনে করেন।

যেকোনো মতবাদ যেটা ইসলামি মৌলিক চিন্তার সাথে সাংঘর্ষিক তাতে আমাদের দেশের কপট সুশীলদের সর্বোচ্চ সমর্থন থাকবে এটাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথম আলো ও এর অনুসারীরা বাউলদের বিরোধিতাকে এ দেশের সংস্কৃতির ওপর চরম আঘাত হিসেবে প্রচার করছে। কিন্তু বাউলরা আপামর মুসলিম জনগোষ্ঠীর অনুভূতিতে যে মারাত্মক আঘাত করেছে সেটাকে শুধু বৈধতাই দিচ্ছে না; মৌলিক অধিকার হিসেবে বয়ান করছে।

আমাদের দুভার্গ্য যে, ‘সুশীল’ শব্দটির মতো বাংলা ভাষার এত সুন্দর একটি শব্দের ব্যবহার হয় তাদের ক্ষেত্রে যারা সবচেয়ে বড়ো ভণ্ড।

লেখক: অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ও বিশ্লেষক

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ