রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
আগুন-ককটেল হামলাকারীকে গুলির নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের রূপসায় হাতপাখার গণসংযোগে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে দেওয়া হবে না : নেতানিয়াহু বিশ্ব অপরিণত নবজাতক দিবস ২০২৫: জীবন রক্ষায় সচেতনতার নতুন অঙ্গীকার মাওলানা ফজলুর রহমানের সিলেট আগমন উপলক্ষে ইস্তেকবাল প্রস্তুতি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাস–ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৪ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসিকে ইসলামী আন্দোলনের ১২টি প্রস্তাবনা অপরাধ কমাতে প্রয়োজন সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা: ড. এম এ কাইয়ুম জমিয়তের সুধী সমাবেশ মঙ্গলবার, প্রধান অতিথি মাওলানা ফজলুর রহমান মারকাযু দিরাসাতিল ইকতিসাদিল ইসলামী পরিদর্শনে মুফতি তাকী উসমানীর সাহেবজাদা

চুইংগামের নামে খাচ্ছি প্লাস্টিকের কণা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান

চুইংগাম পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। বিশেষ করে শিশু এবং তরুণদের কাছে চুইংগাম দারুণ এক পছন্দের খাবার। কিন্তু আমরা কি জানি মজা করে খেলেও চুইংগামের নামে কী খাচ্ছি আমরা? অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি এক চুইংগামেই তিন হাজার মাইক্রো প্লাস্টিক ঢুকছে আমাদের পেটে। এই তথ্যই উঠে এসেছে গবেষণায়। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের পরিচালিত গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে এই ক্ষুদ্র প্লাস্টিকের টুকরাগুলো প্রবেশ করে মানবদেহে।

চুইংগাম সাধারণত দুই ধরনের হয়। প্রাকৃতিক ও সিনথেটিক। দোকানে যেসব চুইংগাম বিক্রি হয় এর বেশির ভাগই সিনথেটিক। যা তৈরি হয় পেট্রোলিয়াম ভিত্তিক পলিমার দিয়ে। শুধু সিনথেটিক চুইংগাম নয় প্রাকৃতিক চুইংগামেও মাইক্রো প্লাস্টিকের উপস্থিতি দেখে গবেষকরা রীতিমতো চমকে উঠেছেন। দেখা গেছে একটি চুইংগাম চিবানোর প্রথম আট মিনিটের মধ্যেই বেরিয়ে যায় বেশিরভাগ মাইক্রো প্লাস্টিক। গবেষণায় উঠে এসেছে চুইংগাম প্রিয় একজন ব্যক্তি ১ বছরে ১৮০টি চুইংগাম চিবিয়ে গ্রহণ করতে পারে ৩০,००० মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা। আমেরিকার কেমিক্যাল সোসাইটির আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, চুইংগামে মূলত পলিইথিলিন ও পলিস্টাইরিনের মতো প্লাস্টিকের কনিকা থাকে! এই পলিইথিলিন পলিথিন ব্যাগ, পানির বোতল, ওয়ানটাইম কাপ ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

সবচে ভয়ংকর তথ্য হচ্ছে, প্লাস্টিকের এই কণাগুলো আমাদের শরীর হজম করতে পারে না। নিয়মিত চুইংগাম খাওয়ার ফলে কণাগুলো জমে আমাদের দেহে এবং তা দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। এবং সেটাও খুব সুখকর কোনো বিষয় নয়। মাইক্রোপ্লাস্টিক দিনের পর দিন শরীরে ঢুকে রক্তে মিশতে থাকলে সেটা সৃষ্টি করতে পারে বিভিন্ন জটিল রোগ। ডায়াবেটিসের কারণও হতে পারে এই প্লাস্টিকের কণা। কারণ, এই কণা ইনসুলিনের ক্ষরণে প্রভাব ফেলে। এছাড়া প্লাস্টিকের কণা বদলে দিতে পারে শরীরের হরমোনের ভারসাম্যও। কমিয়ে দিতে পারে পুরুষের শুক্রানুর পরিমাণ। হতে পারে স্নায়ুবিক রোগের কারণও।

তাই ভালোবেসে সন্তানের হাতে কী তুলে দিচ্ছেন একবারতো ভেবে দেখুন!]

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ