শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কচুয়ায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও যুব মজলিসের নতুন কমিটি ঘোষণা কেবল নেতা পরিবর্তন করতে জুলাইয়ে ছাত্র-জনতা রক্ত দেয় নাই : শায়েখে চরমোনাই জুলাই চেতনার সাথে গাদ্দারি ইতিহাস ক্ষমা করবে না : নেজামে ইসলাম পার্টি  চাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্যানেল ঘোষণা হক্কানী আলেমদের পরামর্শে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জাতির জন্য কল্যাণকর: জমিয়ত আলোচনার মধ্যে কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল শনিবার ঢাকায় কচুয়ার উলামায়ে কেরামের মতবিনিময় সভা কুমিল্লার নূর মসজিদ মাদরাসায় একাধিক শিক্ষক নিয়োগ পিআর পদ্ধতি জনতা না চাইলে আমরাও আর দাবী করবো না: শায়েখে চরমোনাই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় বিপর্যয় অনিবার্য: মহাসচিব 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শহীদ একজন সিলেটী 

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কে.এম. সুহেল আহমদঃ 

সময়টা ১৯৪০ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা চারপাশে। ৫৩ বছরের টগবগে তরুণ আব্দুল মালিক যোগ দেন তৎকালীন ভারতীয় হয়ে বৃটিশ নৌবাহিনীতে । পড়াশোনা ছিল মেট্রিক পর্যন্ত। নৌবাহিনীর নাবিক হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েই চলে যান যুদ্ধের ময়দানে। লড়েন ব্রিটিশ পরিচালিত মিত্রবাহিনীর হয়ে। 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে(১৯৩৯-১৯৪৫) নিহত হন ভারতীয়( তৎকালীন) ও ব্রিটিশ সৈন্যরা। 

তিনি যুদ্ধের প্রচেষ্টাকে সমর্থনকারী ভারত থেকে ২ মিলিয়নেরও বেশি একজন ছিলেন।  একটি জার্মান ইউবোট দ্বারা তার জাহাজটি টর্পোডোড করার পরে এবং ১৯৪৩ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে যুদ্ধ সমাধিতে স্মরণীয় হয়ে মারা যাওয়ার পরে তিনি মারা যান। 

তিনি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার কুশিয়ারা তীরবর্তী অঞ্চলের কুড়ারবাজার ইউনিয়নের আঁঙ্গুরা মুহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি দুই পুত্র (মরহুম হাজী আব্দুর রহীম ও মরহুম হাজী আব্দুল করিম)  ও ৩ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। 

তিনি তৎকালীন সময়ে  বৃটিশ নৌবাহিনীর একজন নাবিক ছিলেন।( British Royal Navy Seaman). 

আত্মীয়তার সম্পর্কে তিনি আমার আপন নানা হন। 

৮ই মে VE (Victory in Europe Day (VE Day) দিনের ৮০ তম বার্ষিকীতে আমরা উদযাপন করি, তবে প্রতিফলিতও করি। আমি সবাইকে মনে রাখতে চাই,  যারা লড়াই করেছেন, যারা প্রাণ দিয়েছেন, যারা ww2 এর শেষ অবধি তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে এবং পর্দার আড়ালে থাকা সমস্ত নামহীন মানুষ- তাদের সকলেরই সরকারী সম্মান বা পদক নেই, তবে সকলেই আমাদের ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করেছে এবং  আজ আমাদের স্বাধীনতা আছে।  মিত্র দেশগুলির সকলের পাশাপাশি নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মতো কম উল্লেখযোগ্য দেশগুলির ও প্রতি। 

যদিও যুদ্ধের ক্ষেত্রে সামরিক অবদানগুলি স্মরণ করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে, তবে বেনামে কর্মীদের অবদানটিও ভুলে যাবেন না। 

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়  ১৯৪১-৪৫ সালে বার্মায় (বর্তমান মায়ানমার) সংঘঠিত যুদ্ধে প্রায় ৪৫ হাজার সৈনিক নিহত হন। তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে মায়ানমার (তৎকালীন বার্মা), আসাম এবং বাংলাদেশে মোট নয়টি রণ সামাধিক্ষেত্র তৈরি করা হয়। বাংলাদেশ দুটি কমনওয়েলথ রণ সমাধিক্ষেত্র আছে। যার প্রথমটি চট্টগ্রামে অবস্থিত, দ্বিতীয়টি কুমিল্লায়। 

প্রথমটি 'চট্টগ্রাম ওয়ার সেমিটারী' কমনওয়েলথ যুদ্ধ সমাধিক্ষেত্র ও দ্বিতীয়টি কুমিল্লার ময়নামতি রণ সমাধিক্ষেত্র।এগুলি ১৯৪৩-১৯৪৪ সালে তৈরি করা হয়েছে। 

প্রতি বছরই দেশ-বিদেশের বহু দর্শনার্থী যুদ্ধে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসব রণ সমাধিক্ষেত্রে আসেন। 

এসব রণ সমাধিক্ষেত্রে থাকা কেউ মুসলিম বা কেউ খ্রিষ্টান। দেশও ভিন্ন। হয়তো যুদ্ধের ময়দানে এভাবেই তাঁরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন একসঙ্গে। তাঁদের এক পরিচয়—বৃটিশ মুক্তিযোদ্ধা। 

লেখক: কে. এম সুহেল আহমদ (কাতার প্রবাসী), প্রতিনিধি : আওয়ার ইসলাম ডটকম ও সিলেট মিডিয়া ডটকম। ক্রীড়া সম্পাদক: বাংলাদেশ লেখক- সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশন, কাতার।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ