বুধবার, ২২ মে ২০২৪ ।। ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১৪ জিলকদ ১৪৪৫

শিরোনাম :

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ (পহেলা বৈশাখ) উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার দেশবাসীর উদ্দেশে ভিডিওবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। দেশে ও দেশের বাইরে আপনারা যারা বসবাস করছেন বাংলাদেশের সব ভাইবোনকে বঙ্গাব্দ ১৪৩০-এর আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। শুভ নববর্ষ।

তিনি বলেন, ‘নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করে দেশ আরও একটি বছর পার করেছে। ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’ নতুন বছরের এই শুভক্ষণে আমরা যেন সব অন্ধকার ও প্রতিবন্ধকতা দূর করে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারি এই প্রার্থনা। শুভ নববর্ষ। সবাই ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন।’

এদিকে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, উগ্রবাদ তথা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ তথা সুখী-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবারের বৈশাখ হবে আমাদের জন্য বিপুল প্রেরণাদায়ী।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির সম্প্রীতির দিন, বাঙালির মহামিলনের দিন। এদিন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণে নব-অঙ্গীকারে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে সবাইকে আজ নব-আনন্দে জেগে ওঠার উদাত্ত আহ্বান জানাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য। মোগল সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসাবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা সময়ের পরিক্রমায় আজ সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। বাঙালির আত্মপরিচয় ও শেকড়ের সন্ধান মেলে এর উদযাপনের মধ্য দিয়ে। পহেলা বৈশাখের দিকে তাকালে বাঙালি তার মুখচ্ছবি দেখতে পায়। বৈশাখ আমাদের নিয়ে যায় অবারিতভাবে বেড়ে ওঠার বাতায়নে, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধিতে, অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।’

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান আমলে ঔপনিবেশিক শক্তি বাঙালির ঐতিহ্যকে নস্যাৎ করতে চেয়েছে। বাঙালি দুর্বার প্রতিরোধে আত্মপরিচয় ও স্বীয় সংস্কৃতির শক্তিতে তা প্রতিহত করেছে। সেই শক্তিকে ধারণ করে শামিল হয়েছে মুক্তির সংগ্রামে। সংস্কৃতি ও রাজনীতির মিলিত স্রোত পরিণত হয়েছে স্বাধিকার ও স্বাধীনতার লড়াইয়ে। এভাবেই বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।’

‘এরই ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা ২০১৬ সালে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। নববর্ষের এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন। এই পথ বেয়ে বিশ্বসমাজে বাঙালি হয়ে উঠবে শ্রেষ্ঠ জাতি’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

-একে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ