শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ ।। ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৭ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিস অনুমোদন ২৪এর শহীদদের রক্তের সাথে গাদ্দারি:মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী আফগানিস্তানের তুরগন্দি-হেরাত রেলওয়ে প্রকল্পে ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগের নতুন চুক্তি স্বাক্ষর ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ গেছে ৮০০ ফিলিস্তিনির  ৪৫ বছরের ইমামকে মুসল্লিদের রাজকীয় বিদায় দিবালোকে পাথর মেরে হত্যায় সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জমিয়তের মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি ছাত্র জমিয়তের মসজিদে ঢুকে খতিবকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা আলমডাঙ্গায় আল মাহমুদের জীবন ও সাহিত্য বিষয়ক আলোচনাসভা ঝিনাইদহে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিএনপি’র সমাবেশ ও বিক্ষোভ ‘চাঁদা না পেয়ে পাথর মেরে মানুষ হত্যায় পুরো জাতি স্তম্ভিত’

সহজে তাকওয়া হাসিলের উপায়: হজরত ইবনে উমর রা.

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুযযাম্মিল হক উমায়ের।।

হজরত আব্দুল্লাহ বিন উমর রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি বলেন,لَا يَبْلُغُ الْعَبْدُ حَقِيقَةَ التَّقْوَى حَتَّى يَدَعَ ‌مَا ‌حَاكَ ‌فِي ‌الصَّدْرِ -অন্তরে যেসব সন্দেহে আসে তা ছাড়তে না পারলে কোনো বান্দা পরিপূর্ণ তাকওয়ার স্তরে পৌঁছতে পারবে না।

লেখক বলেন, এই উপদেশটি হুজুর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস শরিফ থেকে নেওয়া। হুজুর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয় হালাল (বিষয়াবলি) সুস্পষ্ট। হারামও (বস্তুসমূহ) সুস্পষ্ট। হালাল-হারামের মাঝামাঝি হলো, সন্দেহযুক্ত বস্তু। যে সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষ জানে না। অতএব যে সন্দেহযুক্ত জিনিসসমূহ থেকে বেঁচে থাকবে, সে তার দীন এবং ইজ্জতকে হেফাজত করতে পারবে। আর যে সন্দেহযুক্ত জিনিসের পিছনে পড়লো, সে মূলত হারামেই পতিত হয়ে গেলো।’

লেখক বলেন, সন্দেহযুক্ত বস্তু দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, যেসব বিষয়ে আলেমগণ হালাল না হারাম উভয় দিকে মতামত প্রদান করেছেন। তা পোশাক-পরিচ্ছেদে হতে পারে। খাবার-দাবারে হতে পারে। মানুষের জীবন যাপনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও হতে পারে। যারা প্রকৃত মুত্তাকি তাঁরা এসব থেকেও নিজেকে বাঁচিয়ে রাখেন।

এই বিষয়েই আরেকটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। হুজুর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যা তোমার মধ্যে সন্দেহের উদ্রেক হয়, তা তুমি পরিহার করো। যা সন্দেহ নেই, তা গ্রহণ করো।’

লেখক বলেন, এই বিষয়ে আমাদের আসলাফ থেকেও উপদেশ বর্ণিত হয়েছে। তাকওয়ার উপরের স্তরে পৌঁছার জন্য তাঁরাও বিভিন্ন তরিকা বর্ণনা করেছেন। হজরত হাসান বসরি রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা বলেন, ‘মুত্তাকিগণ হারামে লিপ্ত হয়ে যাওয়ার ভয়ে যতোদিন অনেক হালাল কাজ করা থেকে বিরত থাকবে, ততোদিন তাঁরা তাকওয়ার উপর থাকবে।’

হজরত সুফিয়ান বিন উয়ায়না রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা বলেন, ‘বান্দা কখনো ঈমানের পরিপূর্ণে স্তরে পৌঁছতে পারবে না যতোক্ষণ না তার মাঝে এবং হারামের মধ্যে হালালকে পর্দা হিসাবে গ্রহণ না করবে। এবং গুনাহ এবং গুনাহের সাদৃশ্য এমনসব বস্তুকে পরিহার না করবে।’

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ