বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

বাগেরহাটে ঠাণ্ডাজনিত রোগে হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বাগেরহাটে শিশুদের বেশিরভাগই ঠাণ্ডাজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে ২৩৫ জন শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে জেলা হাসপাতালে। জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে জ্বর, সর্দি, কাশি আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে জেলা হাসপাতালে আসছেন অভিভাবকরা। এতে অতিরিক্ত চাপে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন প্রায় ৯০০ থেকে এক হাজার রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বহিঃর্বিভাগে। শয্যা সংকট দেখা দেওয়ায় হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক রোগী।

গত এক সপ্তাহে প্রায় ২৩৫ জন শিশু ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে দেখা যায় ১০০ শয্যার বিপরীতে ৩৬ জন শিশুসহ মোট ২৫০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

শিশু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক বলেন, কয়েকদিন ধরে বাচ্চার জ্বর, সর্দি ও কাশি। এখানে ভর্তি হলে ডাক্তাররা এক্স-রে করতে বলেছে। এক্স-রেতে দেখা গেছে ছেলের বুকে কাশি জমে শুকিয়ে গেছে। সুস্থ হতে সময় লাগবে।

শুধু বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল নয়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোরও একই অবস্থা। ঠাণ্ডাজনিত রোগের সঙ্গে ডেঙ্গুর প্রকোপও বেড়েছে জেলায়। বর্তমানে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ২২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। এছাড়া জেলায় মোট ১২৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।

বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সেবিকা সীমা আলো হালদার বলেন, নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই শিশু রোগীরা ভর্তি হচ্ছে। অনেক বেশি রোগী হওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।

বাগেরহাট ২৫০ শয্যা রাজিয়া নাসের জেলা হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. হুসাইন সাফায়াত বলেন, আমাদের ২৫০ শয্যার অনুমোদন থাকলেও জনবল রয়েছে একশ শয্যার। সীমাবদ্ধতার মধ্যেই আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ