মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
জামায়াতের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ময়মনসিংহে ইসলামি বইমেলা শুরু ১৩ নভেম্বর ভারতের পুনে দুর্গে নামাজ আদায় করা নিয়ে দেশভর তোলপাড় ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: শায়খে চরমোনাই কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত 'বাংলাদেশ' নামের পত্রিকা : স্বাধীনতার ৩৩ বছর আগের এক ঐতিহাসিক দলিল ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি বাতিল হওয়ার খবরটি ভুল : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নাতির কাছে কায়দা শিখছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর জামায়াত সেক্রেটারি পরওয়ারের বক্তব্য ঔদ্ধত্যপূর্ণ: এনসিপি ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস এ৩৩০ সম্পন্ন হলো আবু ত্বহা ও সাবিকুন নাহারের তালাক

জাকাত তহবিল আইন সংসদে উত্থাপিত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: জাকাত একটি আর্থিক ইবাদত। আমাদের দেশে সাধারণত ব্যক্তিগত পর্যায়ে জাকাত প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে সরকারিভাবেও জাকাত সংগ্রহ করা হয়। সরকারিভাবে সংগ্রহ করা জাকাতের অর্থ ব্যবস্থাপনার জন্য জাকাত তহবিল ব্যবস্থা আইন ২০২২ বিল সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।

বিলে, পবিত্র কোরআনের সুরা তওবায় জাকাতের যে ৭টি ক্ষেত্রের কথা বলা আছে, সেভাবেই জাকাত সংগ্রহ করার বিধান রাখা হয়েছে। এজন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্বাবধায়নে জাকাত বোর্ড গঠন করে জাকাত সংগ্রহ বিতরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশনের আজকের বৈঠকে বিলটি উত্থাপন করেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খান। পরে বিলটি পরীক্ষা করে দুই মাসের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।

সামরিক শাসনামলে জারি করা দ্যা জাকাত ফান্ড অর্ডিন্যান্স ১৯৮২’ রহিত করে বিলটি আনা হয়েছে। তবে উক্ত অধ্যাদেশ বলে পরিচালিত জাকাত বোর্ডের সব ধরনের কার্যক্রমকে এই আইনে অধীনে পরিচালিত বলে সংরক্ষণ দেয়া হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, জাকাত বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন ধর্মমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী, বোর্ডে সদস্য থাকবে ১০ জন। এই বোর্ড জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও জাকাত সংগ্রহ ও বিতরণের জন্য কমিটি করে দিতে পারবে। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশি, বিদেশি যে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার কাছ থেকে জাকত সংগ্রহ করতে পারবে। তারা তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমেও জাকাত ফান্ডে অর্থ জমা দিতে পারবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ নিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাকাত দারিদ্র্য বিমোচন ও পুনর্বাসনের হাতিয়ার। এদেশে সুদীর্ঘকাল থেকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে জাকাত ব্যবস্থা চালু থাকলেও নানা কারণে কাঙ্খিত সুফল পাওয়া যাচ্ছিল না। জাকাত ব্যবস্থার মাধ্যমে এক সময় সারা মুসলিম জাহানে দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্ভব হয়েছিল। তাই সরকার ইসলামের বিধান অনুযায়ী জাকাতের সদ্ব্যবহার ও নিঃস্ব-দরিদ্র মুসলমানদের স্থায়ী কল্যাণের উদ্দেশ্যে The Jakat Fund Ordinance, ১৯৮২ প্রণয়নের মাধ্যমে জাকাত বোর্ড গঠন করে।

মহামান্য সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করায় ২০১৩ সালের ৭ নং আইন দ্বারা অধ্যাদেশটি কার্যকর রাখা হয়। উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় অধ্যাদেশটি সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলা ভাষায় রূপান্তর করে নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে। চলতি বছরের ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার সভায় “জাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২২” অনুমোদন হয়। বিলটি সরকারি অর্থ ব্যয়ের সাথে জড়িত বিধায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান এর ৮২ অনুচ্ছেদের বিধানমতে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সানুগ্রহ সুপারিশ পাওয়া গেছে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ