শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫ ।। ৭ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৯ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
জুলাই সনদ নিয়ে মতামত দিল ২৩ রাজনৈতিক দল ওয়ান উম্মাহ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও উসামা ওমরের কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত ফেনী-২ আসনে নির্বাচন করবেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মঞ্জু গুম-খুনের জন্য হাসিনার বিচার আবশ্যক: মির্জা ফখরুল ডাকসু নির্বাচনে নারী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা সাদিক কায়েমের মেঘনা নদী থেকে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ উদ্ধার চট্টগ্রামে চোর সন্দেহে শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা, দুইজন আহত ঋতুরাজ শরৎ: মানুষ ও প্রকৃতির উচ্ছ্বাস হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে ১৫ কিলোমিটার যানজট

ইন্দোনেশিয়ায় ইশারা ভাষায় হাফেজ হচ্ছে তারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহরের উপকণ্ঠে ‘দারুল আশুম’ মাদরাসাটি অবস্থিত। প্রতিষ্ঠা হয়েছে ২০১৯ সালে।

অন্যান্য মাদরাসার মতো এই মাদরাসা থেকে কখনো উচ্চস্বরে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের আওয়াজ ভেসে আসে না। বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য মাদরাসাটি বিশেষায়িত। এখানকার শিক্ষার্থীরা আরবি ইশারা ভাষার মাধ্যমে পবিত্র কুরআনের পাঠ শেখে, হিফজ সম্পন্ন করে।

সংবাদমাধ্যম ‘মুম্বাই উর্দু টাইমস’ সূত্রে জানা যায়, ইন্দোনেশিয়ার ধর্ম মন্ত্রাণালয়ের তথ্যানুযায়ী, বোর্ডিং সিস্টেমে লেখাপড়া করা ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষার্থীদের জীবনের একটি আবশ্যক বিষয়।

প্রায় ৪০ লাখ শিক্ষার্থী দেশের প্রায় ২৭ হাজার মাদরাসায় আবাসিক শিক্ষার্থী। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার ইশারা ভাষার ধর্মীয় এই প্রতিষ্ঠানটি পৃথিবীর সেসব বিশেষ প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত, যারা বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় জ্ঞান শিক্ষা দিচ্ছে।

‘দারুল আশুম’-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আবু কাহফি বলেন, ‘একটি অদৃশ্য চেতনাবোধ থেকে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করি। যখন জানতে পারলাম ইন্দোনেশিয়া জুড়ে অসংখ্য বধির শিশু রয়েছে, যারা ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানে না। তখনই আমি প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষায়িত এই মাদরাসা করতে উদ্বুদ্ধ হই।’

৪৮ বছর বয়সী আবু কাহফির সাথে ২০১৯ সালে কয়েকজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর পরিচয় হয়। তিনি বুঝতে পারেন, ইসলাম সম্পর্কে এসব শিশু একেবারেই বেখবর। অনিশ্চিত শঙ্কা নিয়ে মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করতে তিনি স্বপ্নচোখে এগিয়ে যান। এখন তার প্রতিষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রায় ১১৫ জন বাক, শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশু রয়েছে। তাদের অনেকে পবিত্র কুরআন হিফজ সম্পন্ন করার পথে। সূত্র: মুম্বাই উর্দু টাইমস।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ