শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


যেসব রেকর্ডের সাক্ষী পদ্মা সেতু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আকারের দিক থেকে পদ্মা সেতু বিশ্বে দীর্ঘতম নয়। তবে কিছু কারিগরি দিক থেকে এটি অন্যগুলোর চেয়ে বিশেষ। এই সেতু নির্মাণে হয়েছে কয়েকটি রেকর্ড। এর মধ্যে আছে সবচেয়ে গভীরে পাইল ফাউন্ডেশন, আর এ কাজে অবলম্বন ছিল স্ক্রিন গ্রাউটিং পদ্ধতি।

এতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হ্যামার। স্প্যানে যুক্ত করা হয়েছে সবচেয়ে ক্ষমতাসম্পন্ন বেয়ারিং। যা ৯ মাত্রার ভূমিকম্প ঠেকিয়ে দেবে। এছাড়া সবচেয়ে দীর্ঘতম এলাকা নদী শাসনের আওতায় আনতে হয়েছে গর্বের এ সেতু নির্মাণে।

ব্যাপকতা দিকে থেকে অ্যামাজনের পরই পদ্মার অবস্থান। তার ওপর এই নদীর তলদেশের কোথাও কোথাও আছে কাঁদা মাটি। সেখানে পিলার বসানোর প্রায় অসম্ভব। সে কারণেই পানির নিচে শক্তভিত গড়তে ১২২ মিটার গভীরে করতে হয়েছে পাইলিং। কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় রাসায়নিক পাঠিয়ে সেখানে বাড়াতে হয়েছে মাটির সক্ষমতা। এ পদ্ধতির নামই স্ক্রিন গ্রাউটিং। এর আগে এত গভীরে আর কোথাও পাইলিং করা হয়নি।

আর এই পাইল বসাতে জার্মানি থেকে আনতে হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হ্যামার। একটি বিশেষভাবে পদ্মা সেতুর জন্যই বানাতে হয়েছে। এমন হ্যামার আর কোনো সেতু নির্মাণে ব্যবহার হয়নি।

পিলার ও স্প্যানের মাঝখানে ব্যবহার করা হয়েছে ১০ হাজার ৫০০ টন ওজনের একেকটি বেয়ারিং। এতে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পেও সেতুর কোনো ক্ষতি হবে না। এত বড় বেয়ারিংয়ের ব্যাবহার নজিরবিহীন।

পরের রেকর্ডটি ক্রেনের। ৩ হাজার ৬০০ টন উত্তোলন ক্ষমতার ভাসমান একটি ক্রেনের সাহায্যে বসানো হয়েছে স্প্যান। আর সেই ক্রেনটি আনা হয় চীন থেকে। মাসে ৩০ লাখ হিসেবে সাড়ে ৩ বছরে এর ভাড়া গুণতে হয়েছে ১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

সবশেষ রেকর্ডটি নদী শাসনে। পদ্মার সেতুর আগে বিশ্বের যেকোনও জল সেতু নির্মাণে এতো বড় এলাকা নদী শসন কর হয়নি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ