শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


তথাকথিত গণকমিশন ইসলাম ও দেশের দুশমন: সাভার ইত্তিহাদুল উলামা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: তথাকথিত গণকমিশন মিথ্যা শ্বেতপত্র ও ভুয়া রিপোর্টের মাধ্যমে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা দেশকে অশান্ত এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের উস্কানি দিচ্ছে। সরকারের উদ্যোগেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। কারণ তারা দেশকে অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। গণকমিশনের হোতারা আজ ইসলাম ও দেশের দুশমনে পরিণত হয়েছে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। গণকমিশনের মিথ্যা শ্বেতপত্রের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আজ (২৬ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইত্তিহাদুল উলামা সাভার উপজেলার নেতৃবৃন্দ একথা বলেন।

তারা আরও বলেন, এক হাজার মাদরাসা এবং ১১৬ জন আলেমের বিরুদ্ধে গণকমিশন যে মিথ্যা শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে তাতে দেশবাসী স্তম্ভিত। এটি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা শুধু আলেমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নয়। বরং এটা ইসলাম ও দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। যে কোন বিপদ কিংবা দুর্যোগে জাতির খেদমতে সর্বস্ব বিলিয়ে কাজ করছেন আলেমরা। করোনাকালে লাশের পাশে যখন স্বজনরাও থাকেনি তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই আলেমরাই লাশের কাফন-দাফন করেছেন। সিলেটে চলমান বন্যায়ও আলেমরা কাজ করছেন নিরবিচ্ছিন্নভাবে। তথাকথিত গণকমিশন ও ঘাদানিক নেতারা এসব কাজে নেই। তারা আছেন শুধু ইসলাম ও দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত নিয়ে। সমাজের সর্বস্তরে তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা দরকার।

তারা বলেন, কওমী মাদরাসাগুলো আদর্শ সমাজ ও জাতি গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গণকমিশনের ভিত্তিহীন তালিকার আলেমগণ দেশ-বিদেশে ইসলামের খেদমত করে যাচ্ছেন। তাদের প্রতি দেশের মানুষের অকৃত্রিম ভালবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। কিন্তু শ্বেতপত্রে তাদের সম্পর্কে অত্যন্ত আপত্তিকর, অসম্মানজনক ভাষা ব্যবহার করে তাদের হেয় করা হয়েছে। এ ধৃষ্টতা অমার্জনীয়।

ইত্তিহাদ নেতৃবৃন্দ বলেন, আলেমদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, কারাবন্দি আলেমদের অবিলম্বে মুক্তি, সারা দেশে ওয়াজ মাহফিলগুলোকে সব ধরনের প্রশাসনিক বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত রাখা এবং মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালা, সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, পবিত্র কুরআন, হাদীস, ধর্মীয় বিধান, ইসলামী শরীয়ত, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানিকর উক্তি ও শব্দের ব্যবহার আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে।

তারা আরও বলেন, গণকমিশনের সাথে জড়িত লোকজন জাতীয় দুর্নীতিবাজ হিসেবে স্বীকৃত। দুর্নীতি এবং নৈতিক স্খলনের দায়ে তাদের অনেককেই রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। গণমাধ্যমে তাদের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের ভয়াবহ চিত্র বারবার আলোচিত হয়েছে। তারা নিজেদের অপরাধ ঢাকতে এখন আলেম এবং কওমী মাদরাসার বিরুদ্ধে লেগেছে। তাদের দুরভিসন্ধি এদেশের মানুষ বাস্তবায়ন হতে দিবে না, ইনশাআল্লাহ।

সাভার দারুল উলূম মাদরাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ইত্তিহাদের জরুরি বৈঠক পরবর্তী এই বিবৃতিতে বৃহত্তর সিলেটের বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ এবং বন্যা পরবর্তী মসজিদ মাদরাসাসহ ধর্মীয় স্থাপনার পুনর্নির্মাণে সবাইকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বানও জানান তারা।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ইত্তিহাদুল উলামার মজলিসে শুরার সভাপতি জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন সাভারের মুহতামিম শাইখুল হাদীস আল্লামা আশিকুর রহমান কাসেমী, শুরা সদস্য ব্যাংক কলোনী মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল্লাহ, ইত্তিহাদের সভাপতি যাদুরচর মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমী, সিনিয়র সহ-সভাপতি ব্যাংক কলোনি মাদরাসার শাইখুল হাদীস মাওলানা আনওয়ার হোসাইন কাসেমী, জামিয়া মদীনাতুল উলূম আমিন বাজারের মুহতামিম শাইখুল হাদীস মাওলানা সলিমুল্লাহ, বলিয়ারপুর মাদরাসার মুহতামিম শাইখুল হাদীস মুফতি আব্দুর রাজ্জাক কাসেমী, জামিয়াতু ইব্রাহীম আ. ঝাউচরের মুহতামিম মুফতি জাহিদুল ইসলাম কাসেমী, জামিয়া মদীনাতুল উলূম আমিন বাজারের শিক্ষা সচিব মুফতি আব্দুর রহীম কাসেমী, ইত্তিহাদের মহাসচিব আনওয়ারুল উলূম মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা শাহেদ জহিরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সাভার দারুল উলূমের মুহতামিম মুফতি আমীনুল ইসলাম কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব গেরুয়া মাদরাসার মুহতামিম মুফতী মাহবূবুর রহমান নবাবগঞ্জী, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিয়া দারুল আমান রাজারবাড়ী মাদরাসার মুহতামিম মুফতি নাজমুল হাসান বিন নূরী, কোষাধ্যক্ষ হারুনিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আলী আশরাফ তৈয়ব, আত্মশুদ্ধি বিষয়ক সম্পাদক বাইতুল কোরআন মাদরাসার মুহতামিম মুফতি নুরুল আমীন, প্রচার সম্পাদক তা'লীমুল কুরআন মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা বজলুর রহমান বাদশাহ, আখেরিয়া মাদরাসা আমিন বাজারের মুহতামিম মাওলানা আফজালুল ইসলাম।

আরও স্বাক্ষর করেছেন হেমায়েতপুর বাইতুল হাবীব মসজিদের খতীব হাফেজ মাওলানা শফিকুল ইসলাম, বলিয়ারপুর মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আব্দুর রশিদ, জামিয়া এহসানিয়া নামাগেন্ডার মুহতামিম মাওলানা মতিউর রহমান আব্বাসী, আহসানুল উলূম মাদরাসা আমিন বাজারের মুহতামিম মাওলানা আবুল কালাম, জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীনের শিক্ষা সচিব মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, বাইতুল মামুর জামে মসজিদ সাভারের খতীব মুফতি শহীদুল ইসলাম জাফরী, যাদুরচর মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতী আবদুল্লাহ ফিরোজী, বাইতুস সালাম মসজিদ হেমায়েতপুরের খতীব মুফতি মাহমুদ হাসান হাবিবী, শামছুল উলূম ইসলামিয়া মাদরাসার মুহতামিম ক্বারী খাইরুল ইসলাম, ফাতেমাতুয যাহরা রা. মাদরাসা মোগরাকান্দার মুহতামিম মাওলানা জাকির হোসাইন, মাওলানা ফেরদৌস মাহমুদ, মাওলানা আব্দুল হামিদ, মাওলানা আনওয়ারুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ, মাওলানা আতহারুল ইসলাম, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, মুফতি সুলাইমান আল কাসেমী, হাফেজ মাওলানা নাসরুল্লাহ, মাওলানা আল আমীন, মাওলানা রুহুল আমীন সহ শতাধিক আলেম।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর