সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৭ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে হাইআতুল উলয়ার প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ লাল কেল্লার মালিকানা চেয়ে মোগল সম্রাটের ‘বংশধরের’ দাবি খারিজ ‘জুলাই অভ্যুত্থানের সেনানীদের ভীত-সন্ত্রস্ত করার হীন অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে’ শাপলায় শহীদদের স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশের দাবি ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক আজ ৫ই মে ঐতিহাসিক গণহত্যা দিবস: আমাদের চোখ খুলবে কবে? স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ ‘২৫ মার্চের কালরাতকেও হার মানিয়েছে শাপলা চত্বরের গণহত্যা’ কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিতে হবে : স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের আবেদন প্রত্যাখ্যান করতে আহ্বান গাম্বিয়ার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলা খারিজ করতে মিয়ানমার যে আইনি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তা প্রত্যাখ্যান করার জন্য বুধবার জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেছে গাম্বিয়া। খবর ভয়েস অব আমেরিকা।

২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করে গাম্বিয়া। তাদের যুক্তি ছিল, মিয়ানমার জান্তা ২০১৭ সালের অভিযানের সময় রোহিঙ্গাদের ওপর যে নিপীড়ন চালায়, তা ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘনের শামিল।

গাম্বিয়ার আরজি ছিল, অভিযানটি অবশ্যই গণহত্যার মতো মারাত্মক অপরাধ এবং বিশ্ব আদালতে মিয়ানমারকে অবশ্যই এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে নির্বিচারে রোহিঙ্গা নারী ও মেয়েদের গণধর্ষণ ও হত্যা তাণ্ডব চালায় এবং হাজার হাজার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়।

এতে প্রায় ৭ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। জাতিসংঘের একটি তথ্য সংগ্রাহক মিশন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, দমন অভিযানের সময় ‘গণহত্যামূলক কাজ’ সংঘটিত হয়েছিল।

মিয়ানমারের জান্তা তাদের বিরুদ্ধে আনা মামলা থেকে খারিজ চাওয়ার দুই দিন পর গাম্বিয়ার আইনজীবীরা মিয়ানমারের সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করে।

জান্তার যুক্তি ছিল, পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি ‘কারো প্রক্সি’ নয় এবং মামলাটি রুজু করার জন্য তাদের কোনো আইনি ভিত্তি নেই। কারণ এটি ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) দ্বারা দায়ের করা হয় এবং আদালত শুধু ওই দেশগুলোর মধ্যেই করা কোন মামলা আমলে নিতে পারে।

গাম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিচার মন্ত্রী দাউদা জালো জান্তার ওই যুক্তির খণ্ডন করে বলেন, ‘এটি গাম্বিয়া ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি বিরোধ।’ মিয়ানমারের মামলা খারিজ করার আবেদনের রায় দিতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে বিচারকদের।

মিয়ানমারের আইনি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রী কো কো হ্লাইং। যিনি গত বছর সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির স্থলাভিষিক্ত হন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ