বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
শুটকি মাছের পুষ্টিগুণ ইরানে বিভাজন সৃষ্টির কৌশল ব্যর্থতার পথে: আমেরিকান ওয়েবসাইট গণঅভ্যুত্থান সরকারের কেউ কেউ ‘লুটপাট’ করে বেহুঁশ হওয়ার দশা: ইশরাক হোসেন ইসরায়েলের গণহত্যায় সহযোগী ৪৮ কোম্পানির নাম প্রকাশ মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ৮৮ জনকে পুশইন বিএসএফের ফ্রিজে বৈদ্যুতিক শক: কারণ ও করণীয় তিন বছর পর ফের চালু হচ্ছে মারকাযুদ্দাওয়াহ’র মাসিক মজলিস কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে দেশ সচেতন  নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল নব্য ফেরাউনের বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণ: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল ভারত

মিশরের ক্বারি আওদার বাড়ি এখন মসজিদ, নামাজ পড়ছেন হাজারো মুসল্লি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিশররে ক্বানা প্রদেশের এনডাউমেন্ট অর্গানাইজেশন এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেদেশের বিখ্যাত ক্বারি শাইখ আওইদা’র বাড়ি মসজিদে রূপান্তর করেছে।

গত শুক্রবার এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যমে এই প্রসিদ্ধ ক্বারির বাড়ি মসজিদে রূপান্তর করা হয়েছে।

এই মসজিদরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্বারি শাইখ আওইদা’র সন্তানগণ, তার শুভাকাঙ্খিগণ এবং পার্লামেন্টের কিছু সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ক্বারী শাইখ আওইজা কুরআনের সেবায় তার জীবন অতিবাহিত করেছেন। ২০১২ সালে ৯২ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।

মিশরের ক্বানা প্রদেশেরে আশ-শুউন এলাকায় তিনটি অংশে বিভক্ত এই সাধারণ বাড়িটি তার ছাত্ররা মসজিদে রূপান্তরিত করেছেন। মসজিদে রূপান্তরিত হওয়া পূর্বে এই বাড়ির একাংশে কুরআন তিলাওয়াত প্রশিক্ষণ দেওয়াত হত এবং অপর একাংশে শিশুদের কুরআন হেফজ করানো হতো এবং শেষাংশে নরীদের কুরআন তিলাওয়াত প্রশিক্ষণ দেওয়াত হত। বর্তমানে ক্বানা এন্ডোয়েমেন্ট অর্গানাইজেশন এই মসজিদটি পুনরুদ্ধার ও উন্নয়নের পর উদ্বোধন করেছে।

শেখ মোহাম্মদ আওইদা ১৯৪৭ সালে মিশরের সুয়েজ শহরে যান এবং সেখানে তিনি শেখ আহমদ তাওসের কাছে পড়াশোনা করেন। ১৯৫২ সালে তিনি তার জন্মস্থান ক্বাবা প্রদেশের আশ-শুউন এলাকায় ফিরে যান এবং তার জীবনের বড় একটা অংশ তিনি সপ্তম পন্থায় কুরআন তিলাওয়াত প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যয় করেছেন। নিজের ছোট বাড়িতে তিনি বিনামূল্যে কুরআন প্রশিক্ষণ দিতেন।

শাইখ আওইদা যেসকল কুরআন মাহফিলে আয়োজন করতেন তাতে মিশরের ক্বানা প্রদেশ ব্যতীত “আল-জাইযাহ” এবং “আসওয়ান” প্রদেশের বিশিষ্ট ক্বারি ও আলেমগণ উপস্থিত হতেন।

শেখ আওইদাহ ততটা শিক্ষিত ছিলেন না। কিন্তু তার অনন্য ক্ষমতার কারণে তিনি নিজ হাতে লিখিত মিশরের বিভিন্ন ক্বারিদের কুরআন তিলাওয়াতের অনুমোদনপত্র প্রদান করতেন। তার নিকট হতে যেসকল ক্বারিগণ এই অনুমোদনপত্র গ্রহণ করেছেন মিশরে তাদেরকে বিশেষ মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখা হয়।

মিশরের এই বিখ্যাত ক্বারি ৫০ বছর ধরে আশ-শুউন এলাকায় তার নিজস্ব দারুল কুরআনে প্রতিদিন বিকাল হতে মাগরিব আযান পর্যন্ত ছাত্রদের কুরআন তিলাওয়াত প্রশিক্ষণ দিতেন। এই দারুল কুরআন মিশরে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছ।

তের বছর বয়সে তিনি সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করেন এবং আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ১৯৭৯-এর দশকে কুরআন তিলাওয়াত প্রশিক্ষণের জন্য আমন্ত্রণ জানায়। সূত্র: ইকনা

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ