শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


কিছুতেই খাওয়া কমাতে পারছেন না? মেনে চলুন ৪ পরামর্শ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সারিব সুইজা: ওজন কমানোর প্রাণপণ চেষ্টা করছেন? ডায়েট, ব্যায়াম— কোনও কিছুতেই কমতি নেই। কিন্তু পছন্দের খাবার দেখলেই লোভ সামলাতে পারেন না? মাঝেমাঝেই খেয়ে ফেলছেন পিৎজ্জা, বার্গার, আইসক্রিম, বিরানি? এই করেই ভেস্তে যাচ্ছে আপনার ওজন কমানোর পরিকল্পনা। হয়তো ভেবেছিলেন তিন মাসে ১০ কেজি ওজন কমাবেন। কিন্তু সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছেন না। ভাল-মন্দ দেখলেই খেয়ে ফেলার প্রবণতা আমাদের সকলেই মধ্যেই রয়েছে। তবে কিছু ফন্দি জানা থাকলে, আপনার এটা সামলাতে একটু হলেও সুবিধা হবে। তখন আর লক্ষ্যভ্রষ্ট হতে হবে না।

খাওয়ার পর দাঁত মেজে নিন: এই কথাটাও অদ্ভুত শোনাতে পারে। কিন্তু এই ফন্দি বেশ কার্যকর। বিশেষ করে যাদের খাওয়ার পরই মিষ্টি খাওয়ার প্রচন্ড ইচ্ছা করে। খাওয়ার পর ব্রাশ করে নিলে আপনার মস্তিষ্ক বাকি শরীরকে বার্তা পাঠাবে যে এবার আর খাওয়া ঠিক হবে না। তা ছাড়াও টুথপেস্টে এমন একটা পদার্থ থাকে যা মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।

লোভনীয় খাবারের তালিকা বানান: অবাক হচ্ছেন কথাটা শুনে। কিন্তু এই ফন্দি আপনার কাজে লাগবেই। যখনই কিছু খেতে ইচ্ছে করবে, একটা নোটবুকে সেটা লিখে ফেলুন। অনেক সময় আমাদের মনের ইচ্ছা লিখে প্রকাশ করলে, সাময়িকভাবে সেটার প্রতি আকর্ষণ কমে যায়। নিজেকে বোঝান যখন ওজন অনেকটা কমে যাবে, তথন এই তালিকা থেকে কিছু খাবার ইচ্ছেমতো খাওয়া যাবে কিংবা যে দিন আপনার ‘চিট ডে’, মানে যেদিন ডায়েটের একটু হেরফের করা যায়, সে দিন এই তালিকা থেকে যে কোনও একটা খাবার অল্প পরিমাণে খেতেই পারেন। এতে সপ্তাহের বাকি দিনগুলো আপনারই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হবে।

না খেয়ে থাকবেন না: অনেক সময় দ্রুত ওজন কমানোর জন্য আমরা দুপুরের খাবার বা রাতের খাবার বাদ দিই। কিন্তু তাতে লাভ কিছুই হয় না। বরং পরের খাওয়া সময়ে এমন খিদে পাবে যে আপনি অজান্তেই অনেক বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলবেন। তাই এই ভুল কখনওই করবেন না।

অস্বাস্থ্যকর খাবার বাড়িতে রাখবেন না: ডায়েট করার সময় আমরা সাধারণত দুপুর বা রাতের খাবার নিয়ম মেনেই খাই। কিন্তু মুশকিল হয় খুচরো খিদের সময়ে। বিকেল হলেই নানা রকম খাবার খাওয়ার ইচ্ছে জাগে। তখনই আমরা উল্টোপাল্টা খেয়ে ফেলি। তাই মাসের বাজার করার সময় কোনও রকম ভাজাভুজি, অস্বাস্থ্যকর খাবার কিনবেন না। বরং বাড়িতে কিছু স্বাস্থ্যকর টুকটাক খাবার সময় করে বানিয়ে রাখুন। খিদে পেলে কাজে দেবে।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ