শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


চাঁদ রাত ইবাদতের শ্রেষ্ঠ রাত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি নাজমুল হাসান

পবিত্র মাহে রমাযান শেষে যে রাত আগমন করে, যাকে আমরা সহজে চাঁদ রাত হিসেবে জানি; এই রাতটি অত্যন্ত বরকতময় একটি রাত। হাদীস শরীফে এই রাতের ব্যাপারে অনেক ফজিলতের কথা এসেছে৷ তম্মধ্যে হতে কিছু ফজিলতের কথা নিম্নে আলোকপাত করা হল-

চাঁদ রাতের দুআ ফিরিয়ে দেওয়া হয় না: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমুআর রাত, রজব মাসের প্রথম রাত, অর্ধ শা‘বানের রাত এবং দুই ঈদের রাতসহ এ পাঁচ রাতে কোনো দুআ করে; সে রাতে তার কোনো আবেদনই ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস: ৭৯২৭)

এই রাতের ইবাদতে জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়: হযরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত (ইবাদতের মাধ্যমে) জাগ্রত থাকবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।

এক. যিলহজ্ব মাসের ৮ তারিখের রাত৷ দুই. যিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখের রাত (আরাফার রাত)৷ তিন. ঈদুল আজহার রাত৷ চার. ইদুল ফিতরের রাত এবং পাঁচ. ১৫ শা‘বানের রাত। (আত তারগিব ওয়াত তারহিব লিল মুনজেরি ২/৯৮, হাদিস: ১৬৫৬)

এই রাতে ইবাদতকারীর অন্তর কেয়ামতের দিন মরবে না: হযরত আবু উমামা বাহেলি (রা.) বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি দুই ঈদের রাতে আল্লাহর কাছে সাওয়াব প্রাপ্তির নিয়তে ইবাদত করবে, তার হৃদয় সেদিনও জীবিত থাকবে, যেদিন সকল হৃদয়ের মৃত্যু ঘটবে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৭৮২)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, হযরত উবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার রাতকে (ইবাদতের মাধ্যমে) জীবিত রাখবে, তার অন্তর ওই দিন মরবে না, যেদিন অন্যদের অন্তর মরে যাবে। (আল মু‘জামুল আওসাত ১/৫৭, হাদিস: ১৫৯)

উল্লিখিত হাদীসগুলোতে চাঁদ রাতের যে সব ফজিলতের কথা বলা হয়েছে, এগুলোর মধ্যে কোনটিতেই বিশেষ কোনো ইবাদত করার কথা বলা হয়নি। তাই এই রাতে ইবাদতের বিশেষ পন্থা-পদ্ধতি বা রাকাআত সংখ্যায় সীমাবদ্ধ না থেকে সাধ্যানুসারে নফল নামায, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির-আযকার, ইস্তিগফার এবং দুআ-মুনাজাতে মশগুল থাকা কর্তব্য।

ফজিলতপূর্ণ এই রজনীতে আতশবাজি ফোটানো, গান-বাজনায় মগ্ন থাকা, মার্কেট ও শপিং মলে ঘুরাঘুরি করাসহ যাবতীয় শরীয়ত বিরোধী কার্যকলাপ থেকে বিরত থেকে ইবাদতে লেগে থাকা মুমিনদের জন্য অত্যন্ত অপরিহার্য৷ বিশেষতঃ এশা ও ফজরের নামায জামাতের সাথে অবশ্যই আদায় করা৷

লেখক: তরুণ লেখক, আলেম, গবেষক

ওআই/আবদুল্লাহ তামিম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ