মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ ।। ৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ৯ রমজান ১৪৪৫

শিরোনাম :

স্কুল খোলা হবে পরামর্শক কমিটির মতামতের ভিত্তিতে: শিক্ষামন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিভাবে খুলে দেওয়া যায় তার জন্য একটি গাইডলাইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাস শুরু করার উপযোগী করে তুলতে হবে। তিনি আরো বলেন, তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খোলা হবে- তা করোনা মোকাবিলার জন্য গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আজ রোববার আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘করোনা পরবর্তীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া যায় তার চেষ্টা করছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে কিভাবে আরো ভালো করতে পারি সেটা এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। সেজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব প্রস্তুতি সেরে নিতে বলা হয়েছে।’ ক্লাসরুমের পাশাপাশি অনলাইনে ক্লাস চলবে বলেও জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘এর মধ্যে করোনা মোকাবিলার জন্য গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামত নেওয়া হবে। ৪ ফেব্রুয়ারির পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে নেওয়া যাবে, নাকি আরো পরে নেওয়া হবে- সেটি পরামর্শক কমিটির মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

মন্ত্রী বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া হবে। সেজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের তিন বা চার মাসের মধ্যে সরাসরি ক্লাসে এসে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করতে হবে। সেজন্য তাদের সপ্তাহে পাঁচ বা ছয়দিন ক্লাসে আসতে হতে পারে। অন্যান্য ক্লাসে সপ্তাহে একদিন আসতে হবে শিক্ষার্থীদের। তবে সবাইকে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মেনে ক্লাস করতে হবে।

একসঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার ব্যাখ্যা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের শ্রেণিকক্ষে এত শিক্ষার্থী থাকে না। কিন্তু বাংলাদেশে ক্লাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। এখানে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মানা খুব কঠিন। তাই শ্রেণিকক্ষে যেন স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকটি মানা হয় সেজন্য স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।

দীপু মনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করার পর একজন শিক্ষার্থী যেন বেকার না থাকে সেজন্য কারিকুলাম পরিবর্তনের কাজ করছি। এরই মধ্যে মাধ্যমিকে কোনো বিভাগ থাকবে না এটার কাজ শুরু হয়ে গেছে। সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের যেন বাধ্যতামূলকভাবে একটি কারিগরি ট্রেডে পড়ানো হয় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

‘পরীক্ষা বা সনদনির্ভয় ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছি। নতুন করে কারিকুলাম সাজাচ্ছি, সেজন্য নতুন প্রকল্প চলছে, আরো প্রকল্প নেওয়া হবে’, যোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

বাংলাদেশ-ইউনেস্কো কমিশন এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর মো. ফয়াসউদ্দিন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাবিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ