রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ ।। ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১১ জিলকদ ১৪৪৫


ইউটিউবে আজহারীর নতুন ভিডিও: সামুদ্রিক মাছ নিয়ে ফতোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ
নিউজরুম এডিটর

ওয়েলকাম ভিডিও ডিলেটের পর আবারো ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করেছেন মিজানুর রহমান আজহারী।

আজ শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টা ১৫ মিনিটে এ ভিডিও আপলোড করেন তিনি। তাতে দেখা যায় মাত্র ৫০ মিনিটের মাথায় ভিডিওটি ১ লাখ ভিউ পার করেছে।

জাপান থেকে পাঠানো এক বোনের প্রশ্নের জবাব দেয়ার জন্য ভিডিওটি দিয়েছেন তিনি।

মিজানুর রহমান আজহারী ভিডিওর শুরুতে শান্তির বাণী সালাম প্রদান করে বলেন, জাপান থেকে সনিয়া শারমিন নামের এক বোন আমাদের প্রশ্ন করেছেন, সামুদ্রিক কোন কোন প্রাণী খাওয়া যাবে আর কোনটা খাওয়া যাবে না? বিশেষ করে উদাহরণস্বরূপ শামুক, ঝিনুক, অক্টোপাস, কুইড এবং কাকড়ার কথা তিনি উল্লেখ করেছেন।

জবাবে মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, এক্ষেত্রে আমরা বিশ্বাসীরা এই মূলনীতি অবলম্বন করতে হবে যে, যেটা তাইয়িবাত বা পবিত্র সেটা খাওয়া এবং কনজিম করা আমাদের জন্য হালাল। আর যেটা খবায়েস বা অপবিত্র সেটা আমাদের জন্য হারাম।

তাহলে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি। সামুদ্রিক সব ধরনের প্রাণী বা সি ফুড খাওয়া জায়েজ। যদি এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর না হয়। বা তাতে বিষাক্ত কোন জিনিস নেই এমনটা প্রমাণিত হয় তাহলে।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে ভালোভাবে ইসলাম বুঝার ও মানার তৌফিক দান করুক। আমীন।

উল্লেখ্য, এর আগে তিনি তার চ্যানেলে একটি ওয়েলকাম ভিডিও আপলোড করলে তাতে ১২ সেকেন্ডের একটি ব্রাকরাউন্ড সাউণ্ড কপি ধরা পড়ে। যার ফলে তাতে এড শো করতে থাকে। অথচ এর আগে তিনি বলেছিলেন, তার চ্যানেলে মনিটাইজেশন চালু করবেন না। ফলে সেটি ডিলেট করে দেন তিনি। ফেসবুকে এক স্টাটাস দিয়ে মিজানুর রহমান আজহারী নিজেই বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।

এর আগে গতবছর ২০১৯ সালে মিজানুর রহমান আজহারী দেশের বিভিন্ন স্থানে মাহফিলে কুরআন-হাদিসের কথা বলে বেশ জনপ্রিয়তা কুঁড়িয়েছিলেন। সেসময় বিতর্কিত কিছু কথার কারণে সমালোচিতও হয়েছিলেন তিনি।

এক সময় সরকারের চাপে পড়ে দেশ ছাড়তে হয় তাকে। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন বিখ্যাত এ বক্তা।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ