সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৪ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
শিক্ষক মানবতার নির্মাতা ও সমাজগঠনের দিশারী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ৯৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, ইরানে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ভারতে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ বলায় মুসলিমদের ওপর বুলডোজার অভিযান জামায়াতের কথার সঙ্গে কাজের মিল নেই : রুমিন ফারহানা লাগাতার অগ্নিকাণ্ড রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্পষ্ট  ষড়যন্ত্র: মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ভারতীয় সংস্থাগুলোর যেভাবে কাশ্মীরীদের সম্পত্তি দখল করছে গণভোট আয়োজনে সরকারের গড়িমসি উদ্বেগজনক: জামায়াত বিহার নির্বাচনে মাঠে ৩৬ মুসলিম প্রার্থী আফগানিস্তান যুদ্ধ চায় না, তবে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করলে নীরব থাকবো না

মাওলানা মামুনুল হককে বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহবান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তা না হলে পরিণতি ভালো হবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে নগরীর মৎস্য ভবন থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছবির হাট পর্যন্ত এক মানববন্ধনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘মামুনুল হককে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ তার জবাব দেবে। এর পরিণাম ভালো হবে না। দৃষ্টান্তমূলক পরিণামের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি এটা জনগণের সরকার। আমাদের ক্ষমতার উৎস বাংলার জনগণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। তাই কেউ যদি মনে করেন এসব কথা বলে পার পেয়ে যাবেন, তা নয়। স্বাধীনতাকামী মানুষরা কলাগাছ নয়, মান্দার গাছ। কেউ ইচ্ছে করে পিঠ ঘষতে আসলে তার পিঠ উঠে যাবে। দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ মুসলমান। দেশে কিছু লোক ধর্ম ব্যবসায়ী হয়ে ইসলাম ধর্মের অবমাননা ও অপব্যাখ্যা করবেন আর ইসলাম প্রিয় মানুষ কিছু বলবে না, এটা হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘ধর্ম কারও কাছে লিজ দেওয়া হয়নি। ধর্মের রক্ষক আপনারা কয়েকজন নন। যারা ইসলামকে বিশ্বাস করে তারাই ধর্মের রক্ষক। আমি বিশ্বাস করি অন্য ধর্মাবলম্বীরাও কখনও ইসলামের অবমাননাকর কোনও উক্তি সহ্য করে না। এই ধরনের উক্তি প্রত্যাহার করতে হবে। যদি প্রত্যাহার না করেন, দেখেন নাই ৫২ সালে তার জবাব বাংলার মানুষ কীভাবে দিয়েছিল। ৭১ সালে ধর্ম ব্যবসায়ীদের জবাব কীভাবে দিয়েছিল। দয়া করে ইতিহাস বুঝতে চেষ্টা করুন। ইতিহাসের প্রতি সম্মান জানান।’

মানববন্ধনে যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সাংবাদিক আবেদ খান, ইতিহাসের অধ্যাপক, গবেষক মুনতাসীর মামুন, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্তসহ আরও অনেকে কর্মসূচিতে যোগ দেন।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ