বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১৩ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র চাইলে বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের সংসদে পাঠাতে হবে : মোহাম্মদ আলী জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হওয়া ছাড়া নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই : নাহিদ ইসলাম তালাক নয়, সংশোধনেই সমাধান: শায়খ আহমাদুল্লাহ শহীদের রক্তের বদলা ইসলামের বিজয়ের মাধ্যমেই নেওয়া হবে : মাসুদ মেট্রোরেল নিরাপদ, যাত্রীদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ ডিএমটিসিএলের দেশকে বিএনপি তিনবার ও আ.লীগ একাধিকবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিল: চরমোনাই পীর টেকসই গণতন্ত্র, সুশাসন ও জবাবদিহিতা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় : মাসুদ সাঈদী আফগান শান্তি আলোচনা ভেঙে যাওয়ার কারণ ভারত: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অবৈধ মোবাইলের ব্যবহার বন্ধ করতে চালু হচ্ছে এনইআইআর সিস্টেম ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বিমানের সফল উড্ডয়ন

জুমার দিনে সূরা কাহ্ফ তিলাওয়াতের ফজিলত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ আল আমিন।।

সপ্তাহ ঘুরে আবার হাজির হলো পবিত্র জুমার দিন। জুমার দিন সপ্তাহের শ্রেষ্ঠতম দিন। হাদীসের ভাষায় (সাপ্তাহিক) ‘ঈদের দিন’। মুমিনের নিকট প্রতিটি জুমা ই গুরুত্বপূর্ণ ও মাহাত্ম্যবহ। জুমার দিনের বিশেষ ফযিলত ও করণীয় সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে বহু হাদীস। এদিনে যেসকল আ'মাল ও করণীয় সম্পর্কে প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবিশেষ উৎসাহ প্রদান করেছেন সেগুলোর অন্যতম সূরা কাহ্ফ তিলাওয়াত করা। সূরা কাহ্ফ কুরআনুল কারীমের অত্যন্ত ফযিলতপূর্ণ একটি সূরা। সহজপাঠ্য ও অতুলনীয় হৃদয়গ্রাহী। আল কোরআনের ১১৪ টি সূরার মধ্যে সূরাটি ১৮ তম। ১১০ আয়াত বিশিষ্ট সূরাটিতে বর্ণনা করা হয়েছে ঐতিহাসিক ঘটনাবলীসহ জীবন ঘনিষ্ঠ নানাবিধ শিক্ষা। জুমার দিন সূরা কাহ্ফ তিলাওয়াতের ফযিলতের ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য একাধিক হাদীস বর্ণিত হয়েছে।

হযরত ইবনে উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন— রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন— যে ব্যক্তি জুম'আর দিন সুরা কাহ্ফ পড়বে তার পায়ের তলদেশ থেকে আসমান পর্যন্ত একটি আলো উৎসারিত হবে, যা কিয়ামত দিবসে তার আলোর কাজ দিবে। আর তার দুই জুম'আর মাঝের (সগীরা গুনাহ) মাফ করে দেওয়া হবে। (আত তারগীব ওয়াত তারহীবঃ ১/৩৫৪)

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত— রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন—'যে ব্যক্তি জুমআর দিন সুরা কাহ্ফ পড়বে তার জন্য তা দুই জুম'আর মধ্যবর্তী সময়ে নুর হয়ে আলো দান করবে। (মুসতাদরাকে হাকিমঃ ২/৩৯৯, বাইহাক্বীঃ ৩/২৪৯, সহীহুল জামে, আলবানীঃ ৬৪৭০)
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন—'যে ব্যক্তি জুম'আর দিন সূরা কাহ্ফ পড়বে, তা তার জন্য তার ও কা'বা ঘরের মধ্যবর্তী স্থান কে নুর দ্বারা আলোকিত করে তুলবে। (শুয়াবুল ঈমানঃ ২/৯৫৯, সহীহুল জামে', আলবানীঃ ৬৪৭১।)

হানাফী, শাফেয়ী ও হাম্বলী মাযহাবের সকল প্রাজ্ঞ মনীষীদের মতে জুমআর দিন সূরা কাহ্ফ তিলাওয়াত করা মুস্তাহাব। মালেকী মাযহাবের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন ইমামও এ মত ব্যক্ত করেছেন। (দ্রঃ আল মাওসূআতুল ফিকহিয়্যাহ, আদদুরারুস সানিয়্যাহঃ জুমআ অধ্যায়)

তিলাওয়াতের সময়ঃ বৃহস্পতিবার সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর থেকে পরবর্তী দিন সূর্য অস্তমিত হওয়ার আগ পর্যন্ত পূর্ণ সময় জুমার দিন হিসেবে পরিগনিত হয়। হাদীসের মধ্যে 'জুমার দিন'–এর কথা রয়েছে, কোনো কোনো বর্ণনায় 'জুমার রাত'–এর কথা রয়েছে, সে হিসেবে বর্ণিত ফযিলত লাভের জন্য উল্লিখিত সময়ের যে কোনো মুহূর্তে উক্ত সুরাটি তিলাওয়াত করা যেতে পারে।

সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলোতে জীবন বাস্তবতার নানামুখী ব্যস্ততায় জড়িয়ে অনেকের জন্যই কুরআনুল কারিম হাতে নেওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠে না। পবিত্র শুক্রবারের খণ্ড অবসর তাদের জন্য আল কুরআনের পবিত্র সান্নিধ্য গ্রহণের অপূর্ব সুযোগ। অপার্থিব এক আবেশে নিজেকে কিছুক্ষণ জড়িয়ে রাখার মোক্ষম সময়। তাই আসুন, মাহাত্ম্যপূর্ণ এদিনটিকে অবহেলায় নষ্ট না করে কাজে ব্যয় করি। পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করি। আল্লাহ রব্বুল 'আলামীন আমাদের সকল নেক আমলগুলো কবুল করুন। আমীন।

শিক্ষার্থী, ফতোয়া বিভাগ, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ