সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ৬ পৌষ ১৪৩২ ।। ২ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংকে ১২৭ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন বিনা টিকিটে রেলওয়ে ভ্রমণ, এক দিনেই ১৪ লাখের বেশি টাকা আদায় সৌদি আরবে এক সপ্তাহে প্রায় ১৮ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার ফয়সালের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রচার করা কৌশল হতে পারে: রফিকুল ইসলাম দীপু চন্দ্র ও শিশু আয়েশাকে পুড়িয়ে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ হেফাজতে ইসলামের রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে ভারতীয় আধিপত্যবাদের কবর রচিত হয়ে গেছে: পীর সাহেব চরমোনাই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে গ্রেপ্তার হান্নানের জামিন ওসমান হাদি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলেন : আইন উপদেষ্টা আল্লাহ আমাদের মক্কা ও মদিনার রক্ষক হওয়ার সম্মান দিয়েছেন : ফিল্ড মার্শাল মুনির

জুমার দিনে সূরা কাহ্ফ তিলাওয়াতের ফজিলত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ আল আমিন।।

সপ্তাহ ঘুরে আবার হাজির হলো পবিত্র জুমার দিন। জুমার দিন সপ্তাহের শ্রেষ্ঠতম দিন। হাদীসের ভাষায় (সাপ্তাহিক) ‘ঈদের দিন’। মুমিনের নিকট প্রতিটি জুমা ই গুরুত্বপূর্ণ ও মাহাত্ম্যবহ। জুমার দিনের বিশেষ ফযিলত ও করণীয় সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে বহু হাদীস। এদিনে যেসকল আ'মাল ও করণীয় সম্পর্কে প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবিশেষ উৎসাহ প্রদান করেছেন সেগুলোর অন্যতম সূরা কাহ্ফ তিলাওয়াত করা। সূরা কাহ্ফ কুরআনুল কারীমের অত্যন্ত ফযিলতপূর্ণ একটি সূরা। সহজপাঠ্য ও অতুলনীয় হৃদয়গ্রাহী। আল কোরআনের ১১৪ টি সূরার মধ্যে সূরাটি ১৮ তম। ১১০ আয়াত বিশিষ্ট সূরাটিতে বর্ণনা করা হয়েছে ঐতিহাসিক ঘটনাবলীসহ জীবন ঘনিষ্ঠ নানাবিধ শিক্ষা। জুমার দিন সূরা কাহ্ফ তিলাওয়াতের ফযিলতের ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য একাধিক হাদীস বর্ণিত হয়েছে।

হযরত ইবনে উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন— রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন— যে ব্যক্তি জুম'আর দিন সুরা কাহ্ফ পড়বে তার পায়ের তলদেশ থেকে আসমান পর্যন্ত একটি আলো উৎসারিত হবে, যা কিয়ামত দিবসে তার আলোর কাজ দিবে। আর তার দুই জুম'আর মাঝের (সগীরা গুনাহ) মাফ করে দেওয়া হবে। (আত তারগীব ওয়াত তারহীবঃ ১/৩৫৪)

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত— রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন—'যে ব্যক্তি জুমআর দিন সুরা কাহ্ফ পড়বে তার জন্য তা দুই জুম'আর মধ্যবর্তী সময়ে নুর হয়ে আলো দান করবে। (মুসতাদরাকে হাকিমঃ ২/৩৯৯, বাইহাক্বীঃ ৩/২৪৯, সহীহুল জামে, আলবানীঃ ৬৪৭০)
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন—'যে ব্যক্তি জুম'আর দিন সূরা কাহ্ফ পড়বে, তা তার জন্য তার ও কা'বা ঘরের মধ্যবর্তী স্থান কে নুর দ্বারা আলোকিত করে তুলবে। (শুয়াবুল ঈমানঃ ২/৯৫৯, সহীহুল জামে', আলবানীঃ ৬৪৭১।)

হানাফী, শাফেয়ী ও হাম্বলী মাযহাবের সকল প্রাজ্ঞ মনীষীদের মতে জুমআর দিন সূরা কাহ্ফ তিলাওয়াত করা মুস্তাহাব। মালেকী মাযহাবের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন ইমামও এ মত ব্যক্ত করেছেন। (দ্রঃ আল মাওসূআতুল ফিকহিয়্যাহ, আদদুরারুস সানিয়্যাহঃ জুমআ অধ্যায়)

তিলাওয়াতের সময়ঃ বৃহস্পতিবার সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর থেকে পরবর্তী দিন সূর্য অস্তমিত হওয়ার আগ পর্যন্ত পূর্ণ সময় জুমার দিন হিসেবে পরিগনিত হয়। হাদীসের মধ্যে 'জুমার দিন'–এর কথা রয়েছে, কোনো কোনো বর্ণনায় 'জুমার রাত'–এর কথা রয়েছে, সে হিসেবে বর্ণিত ফযিলত লাভের জন্য উল্লিখিত সময়ের যে কোনো মুহূর্তে উক্ত সুরাটি তিলাওয়াত করা যেতে পারে।

সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলোতে জীবন বাস্তবতার নানামুখী ব্যস্ততায় জড়িয়ে অনেকের জন্যই কুরআনুল কারিম হাতে নেওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠে না। পবিত্র শুক্রবারের খণ্ড অবসর তাদের জন্য আল কুরআনের পবিত্র সান্নিধ্য গ্রহণের অপূর্ব সুযোগ। অপার্থিব এক আবেশে নিজেকে কিছুক্ষণ জড়িয়ে রাখার মোক্ষম সময়। তাই আসুন, মাহাত্ম্যপূর্ণ এদিনটিকে অবহেলায় নষ্ট না করে কাজে ব্যয় করি। পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করি। আল্লাহ রব্বুল 'আলামীন আমাদের সকল নেক আমলগুলো কবুল করুন। আমীন।

শিক্ষার্থী, ফতোয়া বিভাগ, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ