আবদুল্লাহ তামিম।।
আজ মহিমান্বিত শবে বরাত। লকডাউন ও সরকারী বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান করেছে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ।
গতকাল ইসলামিক মিডিয়া দেওবন্দ মাদরাসাটির ওয়েবসােইটের সূত্রে দেওবন্দের মুহতামিম আল্লামা আবুল কাসেম নোমানী স্বাক্ষরিত একটি আহ্বান প্রকাশ করে। আহ্বানটিতে বলা হয। (১) শব-বরাত ৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার শাবানের ১৪ তারিখ।
এ রাতে তেলাওয়াত ও ইবাদত, দুআ ইস্তিগফারের মাধ্যমে নিজ নিজ ঘরে থাকবেন সবাই। পরের দিন রোজা রাখা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
তবে সম্মিলিতভাবে কোনও কাজ করার কোনও প্রমাণ নেই, তাই রাতে কবরস্থানে যাওয়ার কোনও নির্দেশ নেই, কেবল একবার কবরস্থানে যাওয়ার জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদেশ করেছিলেন।
যেহেতু বর্তমান কঠিন পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাই কেউ শবে-বরাতে মসজিদ বা কবরস্থানে যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন না। আপনার বাচ্চা এবং যুবক-যুবতীদের বেরিয়ে আসতে বাধা দিন, আতশ বাজির মতো রসমায় এবং অপরাধে জড়াবেন না।
আপনার নিজের তাওফিক অনুসারে রাতে নওয়াফিল ও দুয়া ও ইস্তিগফারে লিপ্ত থাকুন। যথারীতি ঘরে থাকুন। ১৫ শাবান শুক্রবারে যদি আপনার এলাকায় জুমা হয়, সীমিত পরিসরে জুমা আদায় করবেন। না হয় ঘরে জোহর নামাজ আদায় করবেন।
(২) বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মতো লকডাউন আমাদের দেশেও চলছে। অন্যান্য দেশেও চলছে। বিধিনিষেধ মেনে সরকারকে সহযোগিতা করুন। মহামারীতে ঘরে থাকা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তাই ঘরে থাকুন। করোনার ভাইরাসের হুমকির মধ্যে রয়েছে এমন এলাকায় ঘরে নামাজ আদায় করুন। মসজিদগুলোতে তিন মিলে জামাত আদায় করে আবাদ রাখুন।
(৩) মহামারীজনিত রোগের ক্ষেত্রে শরিয়তের নির্দেশ হলো, লোকেরা যেখানে আছে সেখানেই থাকবে। বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকবে। হজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও হযরত উমর ফারুক রাযিয়াল্লাহু আনহু এর অনেক নির্দেশ পাওয়া যায়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে শরাই এবং আইনী উভয় ক্ষেত্রেই সাবধান ও বাড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা জরুরি; সকল মুসলমানকে এই বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। সুরক্ষা ও চিকিত্সা ইত্যাদির প্রতি অবহেলা করা উচিত নয়।
এ মহিমান্বিত রাতে আল্লাহর এ আজাব থেকে, পরীক্ষা থেকে আল্লাহ তায়ালা আমাদের মুক্তি দান করুন। সেজন্য আমরা সবাই দোয়া করবো। সবাই সবার জন্য দোয়া করবো।
দেওবন্দ মিডিয়া থেকে আবদুল্লাহ তামিমের অনুবাদ
-এটি