মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জুলাই আন্দোলনের অগ্রসেনানী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ খুলনায় হাতপাখার সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির জরুরি বৈঠক সার্বিক উন্নয়ন ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই: হাফিজ ফখরুল ইসলাম ফরিদপুরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর প্রচারণার গেট ও ব্যানার ভাঙচুর  জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরেই গণভোট দিতে হবে: এ টি এম মাছুম জামায়াত আমিরের আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যিনি খালেদা জিয়াসহ ৯ নারী পেলেন বিএনপির মনোনয়ন ২৩৭ আসনে বিএনপির ধানের শীষ পেলেন যারা নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলায় মতিউর রহমান আকন্দ নিন্দা বস্ত্রহীন ঘুমানোর হুকুম কী ?

'সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে আমার ভাবনা ইতিবাচক'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বতর্মান বিশ্বে সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। ফেসবুক এমন একটি মাধ্যম যেটি ধনী গরিব, ছাত্র, শিক্ষক, নারী-পুরুষ, আলেম-ওলামা সব শ্রেণির মানুষ ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে একটা জিনিস লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ফেসবুকের যেমন ব্যাপক সুবিধা আছে তেমনি ফেসবুকের অপব্যবহার যেন বেড়ে চলছে। কারো সঙ্গে কারও বিরোধিতা থাকতে পারে। সেই বিরোধিতা করতে গিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট খবর প্রচার করা হয়। এ সংকট কেন এবং কীভাবে তৈরি হচ্ছে, কীভাবেই বা এ থেকে উত্তোরণ সম্ভব- এসব বিষয়ে আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে কথা বলেছেন কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার সহ-সভাপতি মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ। আলোচনাটি ধারণ করেছেন মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ। পাঠকদের জন্য আলোচনার চুম্বক অংশ।


আওয়ার ইসলাম: সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহারের কারণে সামাজিক ও ধর্মীয় মহলে এক ধরণের ভয় সৃষ্টি হয়েছে।  ব্যবহারকারীদের আচরণে আলেমসমাজ  খুবই চিন্তিত; এ ব্যাপারে আপনার ভাবনা কী?

মুফতি ফয়জুল্লাহ: সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে আমার ভাবনা ইতিবাচক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিবাচক মুহূর্তও কাটানো যায়। তবে অনেকেই মনে করেন , 'মূর্খদের মতামত দেওয়ার জায়গা হলো সোশ্যাল মিডিয়া।' যাদের কাজের অভাব বা হাতে কাজ নেই; লোকজনকে গালিগালাজ করা, ঘৃণা ছড়ানো, গীবত, বুহতান আর অশ্লীলতা ছড়ানোই তাদের কাজ।

আওয়ার ইসলাম: আপনি বলছেন, এক শ্রেণীর মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণা ছড়ানো, গীবত, বুহতান আর অশ্লীলতা ছড়ানোর কাজ করছে। এটা তারা কেন করছেন বলে আপনি মনে করেন?

মুফতি ফয়জুল্লাহ: এই লোকগুলোর শালীনতা, ভদ্রতা ও সম্মানবোধ বলতে কিছুই নেই। তারা দেশের আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপমানজনক, মানহানিকর, বিভ্রান্তিকর তথ্য ও প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাচ্ছে এখানে ওখানে সবখানে। নিজের মতামতের সাথে অমিল হলেই আর রক্ষা নেই। এমনকি এর জন্য তারা পয়সাও পাচ্ছে!মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত তারা।

আওয়ার ইসলাম: তাদের এমন কর্মকাণ্ডে ধর্মীয় মহলে কী ধরণের প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন?

মুফতি ফয়জুল্লাহ: এই কুচক্রী দুর্বৃত্তদের কারণে আমাদের সমাজের একটি অংশ যাচ্ছে অধঃপতনের দিকে। এ কারণে আমাদের মুরুব্বীদের অনেকেই ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়া আতংকে ভুগেন । ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে পরিতাপের কথাও শোনা যায় মুরুব্বীদের কণ্ঠে, ‘সোশ্যাল মিডিয়া সত্যিই ভীতিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আওয়ার ইসলাম: সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার থেকে তরুণ সমাজকে কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়?

মুফতি ফয়জুল্লাহ: এর কারণ,তাদের অধিকাংশই সংবাদ সম্পর্কে সচেতন নয়। এটা নিঃসন্দেহে বিপজ্জনক। আমার তো মনে হয় , সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষ কখনও সঠিক তথ্য পায় না। এজন্য নতুন প্রজন্মকে সজাগ থাকা ও সোশ্যাল মিডিয়া কম ব্যবহার করা উচিত।’ নিউজের কন্টেন্ট কি , ফর্মেট কি? তা বুঝতে পারলে তবে যারা আজ বিপথগামী, বিভ্রান্ত তারা বিভ্রান্ত হতো না। একটি ভুল পদক্ষেপ আরেকটি ভুলের জন্ম দিতো না।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ