বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
তিন বছর পর ফের চালু হচ্ছে মারকাযুদ্দাওয়াহ’র মাসিক মজলিস কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে দেশ সচেতন  নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল নব্য ফেরাউনের বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণ: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল ভারত পি আর পদ্ধতি নির্বাচন : জনগণ কীভাবে দেখছে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতাল পরিচালক নিহত সকালের নাশতা কেন জরুরি: স্বাস্থ্য সচেতনদের পরামর্শ আজ লালবাগে ইসলামী ঐক্যজোটের সাথে সমমনা ইসলামী দলসমুহের বৈঠক দারুল আরকাম মাদরাসার দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু ! শিক্ষক সমিতির শোক প্রকাশ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, চান্দিনা উপজেলা শাখার কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত ৷

মোবাইলে বই লিখে সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ইরানি শরণার্থী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ২০১৩ সাল থেকে তিনি বন্দি ছিলেন পাপুয়া নিউ গিনির মানুস দ্বীপের ডিটেনশন সেন্টারে। আর সেখানে বসে মোবাইলে লেখা নিজের প্রথম বইয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ সাহিত্য পুরস্কার জিতেছেন সে শরণার্থী।

জানা যায়, ইরানের বেহরজ বুচানি গত ছয় বছর ধরে পাপুয়া নিউ গিনিতে অস্ট্রেলিয়ার ডিটেনশন সেন্টারে বসবাস করছেন। শরণার্থী জীবনের দুঃখ ও একাকিত্ব নিয়ে তার লেখা আত্মজীবনীমূলক বই ‘নো ফ্রেন্ডস বাট দ্য মাউন্টেইস’ বৃহস্পতিবার ‘ভিক্টোরিয়ান প্রাইজ’ সাহিত্য পুরস্কার জেতে; যার আর্থিক মূল্য এক লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার।

নৌকায় করে সমুদ্র পথে অস্ট্রেলিয়া প্রবেশের চেষ্টা করা বুচানি ধরা পড়ার পর থেকে মানুস দ্বীপে শরণার্থী ক্যাম্পে আছেন বলে জানা গেছে।

ওই ক্যাম্পে এক হাজারের বেশি শরণার্থী বসবাস করে। পুরস্কার জয়ের খবরের পর টেক্সট ম্যাসেজে বুচানি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমার চারপাশের নির্দোষ মানুষদের ভোগান্তি শেষ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এ অর্জন উদযাপন করতে চাই না।’

অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন নীতি অত্যন্ত কঠোর। দেশটির সরকার শরণার্থীদের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে না দিয়ে পাপুয়া নিউ গিনির তিনটি এবং দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ নাউরুর ডিটেনশন সেন্টারে রাখে। বন্দী জীবন কাটাতে হয় তাদের সেখানে।

কঠোর অভিবাসন নীতির কড়া সমালোচক বুচানি মোবাইলে নিজ ভাষা ফার্সিতে বইয়ের এক একটি অধ্যায় লিখে তা ‘হোয়াটসএ্যাপ’র মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় একজন অনুবাদকের কাছে পাঠাতেন।

ওই সময় তার সবচেয়ে বড় আতঙ্ক ছিল, ক্যাম্পের নিরাপত্তারক্ষীরা কখন তার ফোনটি কেড়ে নেয়। তিনি বলেন ‘আমি সব সময় আতঙ্কে থাকতাম, যদি তারা আমার কক্ষে হানা দিয়ে আমার সব সম্পদ কেড়ে নেয়।’

গত বৃহস্পতিবার এক অনষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়া এমন এক সাহিত্যিককে পুরস্কৃত করলেন যাকে তারা সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। ‘এটা অস্ট্রেলিয়ার সরকারের জন্য দারুণ লজ্জার। তাদের নীতির কারণেই আজ আমার এ দুর্দশা,’ বলেন বুচানি। দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। সূত্র: ইয়াহু নিউজ

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ