আওয়ার ইসলাম: নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রস্তাব দুই দেশের সমঝোতার ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়নি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না বলেও মনে করছেন তিনি।
সেনা নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালে ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয় নেপিদো। দফায় দফায় আলোচনা ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি শেষে গেল ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর কথা থাকলেও তা কার্যকর হয়নি।
এমন অবস্থায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী বলছেন, সংকট সমাধানে নতুন কৌশল খোঁজা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে যে পাঁচটি প্রস্তাব দেন তার ভিত্তিতেই তৈরি হবে নতুন কর্ম পরিকল্পনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, রোহিঙ্গাদের কারণে কোনো অস্থিরতা তৈরি হলে তার প্রভাব প্রতিবেশী সব দেশের ওপর পড়বে। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত-চীন, থাইল্যান্ডের অর্থনীতি ও নিরাপত্তাও হুমকিতে পড়বে।
শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি পশ্চিমা দেশের সমর্থনের কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, নির্বাচন নিয়ে ২২ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তাদের ব্রিফ করবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব।