শনিবার, ০৪ মে ২০২৪ ।। ২১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
১০ বছরের মধ্যেই বিলুপ্ত হবে স্মার্টফোন, কিন্তু কিভাবে? এখন থেকে মক্কায় প্রবেশে অনুমতি লাগবে সৌদির বাসিন্দাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকারের অঙ্গীকার আছে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী পাখিদের পিপাসা নিবারণে গাছে গাছে পানির পাত্র ঝুলাচ্ছে তারা গাম্বিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য ও কৃষিতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশাবাদ আফতাবনগরে মাদরাসাতুন নূর আল আরাবিয়ার কিতাব বিভাগের সবক উদ্বোধন সম্পন্ন গরমে ত্বকের যত্ন নেবেন যেভাবে বনানীতে দুই ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়লেন শ্রমিকরা, যান চলাচল স্বাভাবিক যুক্তরাষ্ট্রে বহিস্কার হওয়ার শিক্ষার্থীদের যে সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দিল ইয়েমেনি যোদ্ধারা  মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে

বিতর্কিত মন্তব্যে আসামের মন্ত্রীকে মুসিলমদের হুশায়ারি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ভারতের বিজেপি শাসিত আসামের অর্থমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিতর্কিত মন্তব্যে মুসলিমরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

গতকাল (শনিবার) গুয়াহাটিতে ব্রহ্মপুত্রভ্যালি সিভিল সোসাইটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে মুসলিমবিরোধী মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হিমন্তকে সতর্ক করে বিশিষ্ট আইনজীবী হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘মুসলিমদের নিয়ে হিমন্ত সংবিধান বিরোধী মন্তব্য করেছে।’

এরকম ব্যক্তির এক মুহূর্তও মন্ত্রী থাকার অধিকার নেই। তার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করা। পুলিশের উচিৎনিজে থেকে তার বিরূদ্ধে এজাহার দাখিল করা।’

তিনি বলেন, ‘ হিমন্ত সাতপুরুষ ধরে থাকা হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে সম্প্রীতি নষ্টের ষড়যন্ত্র করছেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে সমর্থন করতে গিয়ে মুসলিমদের জিন্নাহ এবং বদরউদ্দিন আজমলের সঙ্গে তুলনা করে শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট করতে চাচ্ছেন।

হিমন্ত বলেন, জিন্নাহর পরিবারকে বহিষ্কার করতেই নাগরিকপঞ্জি নবায়ন করা হচ্ছে। এ ধরণের মন্তব্য সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। তার এমন কথা বলার কোনো অধিকার নেই। রাজ্যবাসীকে হিমন্ত থেকে সাবধান থাকতে হবে। অন্যথায় তিনি বড়সড় দাঙ্গা বাধাতে পারেন।’

গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক শেখ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এসে অসমের চৌত্রিশ শতাংশ মুসলিমকে উৎখাত করার কাজে লেগেছে।

এই ষড়যন্ত্রের মূল নায়ক হলেন হিমন্ত।  বিজেপির ওই ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করার কথা বলেছেন অধ্যাপক শেখ আব্দুল মান্নান।

এ প্রসঙ্গে অসম রাজ্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ও ইউডিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাদির কাশেমি আজ (রোববার) রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘হিমন্ত বিশ্বশর্মা একজন সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ।

উনি একসময় অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ‘আসু’ করেছেন, কংগ্রেস দল করেছেন, এখন বিজেপি করছেন। নতুন করে যেহেতু উনি কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে এসেছেন এবং ওনার লক্ষ্য হল অসমের ‘মুখ্যমন্ত্রীর গদি’ দখল করা। সেজন্য ওনার আরএসএস-জনসঙ্ঘের সমর্থন প্রয়োজন।

মাওলানা আব্দুল কাদির কাশেমি বলেন, আরএসএস-জনসঙ্ঘের কাছে তিনি তার নম্বর বাড়ানোর জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এবং আবোলতাবোল কথাগুলো বলছেন। মুসলিমদের যত বেশি গালাগালি করবেন আরএসএসের কাছে ওনার নম্বর বাড়বে। সেই সুযোগে হয়ত তিনি কোনোদিন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন এমন দিবাস্বপ্ন দেখছেন।

কিন্তু হিমন্ত বিশ্বশর্মার সবচেয়ে বড় বিপর্যয় যেটা হয়েছে, অসমের হিন্দু-মুসলিমের কেউই ওনার সমর্থনে নেই। ওনার কথাগুলো যে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য এসব কথা বলছেন তা শুধু মুসলিমরাই নয়, সকলেই বুঝতে পেরেছেন। আমরা মনে করি অসমের জনগণ ওনার এসব কথা বিশ্বাস করছেন না।’

খুব কম সময়ের মধ্যে হিমন্ত বিশ্বশর্মা এরকম নীতিহীন রাজনীতির ফল ভুগবেন বলেও মন্তব্য করে তিনি। সুত্র: পার্সটুডে।

আইএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ