আওয়ার ইসলাম: সরকারি মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে ৪র্থ দিনের মতো আজ বুধবারও সড়ক অবরোধ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। সকাল ৯টার পর থেকে তারা রাজধানীর মিরপুরের কালশী সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এদিকে, সাভার ও আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিকরা রাস্তায় নামার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসব এলাকায় বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে সাভার ও আশুলিয়ায় চারটি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ। বন্ধ কারখানাগুলো হলো– সাভারের উলাইল ও হেমায়েতপুরের বাগবাড়ী এলাকায় স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের তিনটি ও আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকার মেট্রো নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড।
শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের জন্য সরকার নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করলেও মালিকপক্ষ তা দিচ্ছে না। নতুন বেতনের দাবি জানালেও উল্টো হুমকি-ধমকি দেয় তারা।
এ বিষয়ে শিল্প পুলিশ-১-এর পরিচালক শানা শামীনুর রহমান বলেন, ‘পোশাক কারখানাগুলোতে কাজের গতি ফিরিয়ে আনার জন্য পুলিশ মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছে।’
অন্যদিকে, সকালে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় টেক্সটাউন গার্মেন্টসসহ প্রায় পাঁচটি গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিক বিশ মাইল জিরাবো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এখনও পোশাক শ্রমিকরা কারখানার আশপাশে অবস্থান করছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে পুলিশের জলকামান ও সাঁজোয়া যানবাহন।
গতকাল সংঘর্ষে উলাইল এলাকার আনলিমা টেক্সটাইলের সুমন নামে এক শ্রমিক নিহত হওয়ার জের ধরে আজ ওই পোশাক কারখানাটি একদিনের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে গত তিন দিনও বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ, ন্যূনতম মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে এয়ারপোর্ট, উত্তরা, টঙ্গী, গাজীপুর সড়কে অবস্থান নেন শ্রমিকরা।
কেপি