আওয়ার ইসলাম: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন এবং এরপরে সহিংসতার মধ্যদিয়ে গোটা দেশে একটা ত্রাস ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, এই সহিংসতা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে। তাদের উচিৎ এই সহিংসতা বন্ধ করা। জনগণের প্রতিও আহ্বান, এই সহিংসতা প্রতিরোধ করুন।’
আজ শনিবার সকাল ১০টায় নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ভোটের রাতে ধর্ষণের শিকার নারীকে দেখতে যাওয়ার পথে কুমিল্লা বিশ্বরোডে জমজম হোটেলে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা দেখেছি, নোয়াখালীতে আমাদের এক বোন ধর্ষিত হয়েছে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছি। একইসঙ্গে সারাদেশের অন্য সহিংসতার ঘটনাগুলোতেও আমরা নিন্দা জানিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হলো আবার। এ ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগ ও প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় মির্জা ফখরুলসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বেশ কয়েকজন শীর্ষনেতা গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে গাড়িবহরে নোয়াখালীর উদ্দেশে রওনা দেন। গাড়িবহরের আরও আছেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মো: শাজাহান, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, হারুনুর রশিদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপি প্রেস উইংয়ের দুই সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শাইরুল কবীর।
কেপি