আওয়ার ইসলাম: অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করার জন্য বছরের প্রথম দিন থেকেই সংযুক্ত করা হয়েছে যাত্রীর নাম, মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা।
প্রাথমিকভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ‘সোনার বাংলা’ ট্রেনের অনলাইনে টিকেটের ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা চালু হলেও পরে তা সব ট্রেনের ক্ষেত্রে চালু করা হবে বলে জানা যায়।
টিকিটের কালোবাজারি রোধ করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাগণ।
এই নতুন ব্যবস্থায় ট্রেনের টিকিটের সঙ্গে নাম, মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর কিংবা জন্মসনদের নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা থাকায় তা একজনের টিকিট অন্যজনের ব্যবহার করতে পারবে না। যার ফলে ট্রেনের যাত্রীরাই শুধু টিকিট কাটার ও ব্যবহারের সুযোগ পাবে।
শুরুতে শুধু সোনার বাংলা ট্রেনের অনলাইন টিকিটে এটা করা হয়। পরে সোনার বাংলা এবং সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের শতভাগ টিকিটেও এসব তথ্য যোগ করা হয়। অনবোর্ড চেকিং সিস্টেম হবে, তখন পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। টিকিট কাটতে হলে যাত্রীকে নাম, মোবাইল নম্বর, এনআইডি নম্বর অথবা বার্থ-রেজিস্ট্রেশন নম্বর ইনপুট দিতে হবে।
পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে সোনার বাংলা ট্রেনের ১৫ ভাগ টিকিটে এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।পাইলট প্রকল্প সফল হলে মাস তিনেকের মধ্যে সব ট্রেনে এটি চালু করতে চায় বাংলাদেশ রেলওয়ে।
রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সুপারিশ করেছিল টিকিটে নাম-ঠিকানা, এনআইডি নম্বর যোগ করতে।
পরে রেল মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয়, বর্তমানে টিকিটের যে কাগজ ছাপানো আছে তা শেষ হলে নতুন কাগজে নাম, বয়স, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও মোবাইল নম্বরে থাকবে।
এএ