বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫ ।। ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ জনসমুদ্র, বক্তব্য রাখছেন শীর্ষ নেতারা শ্রমিকদের অবস্থা পরিবর্তন না করে বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয় : প্রধান উপদেষ্টা ৬ষ্ঠ বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুক শিগগিরই ইস্যু হচ্ছে হেফাজতের মহাসমাবেশ সফল করতে হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালকের আহ্বান ইসরায়েলে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা  নিশ্চিত করতে হবে: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ‘ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ’ কীভাবে সংকলিত হয়, কেন গুরুত্বপূর্ণ সৌদি পৌঁছেছেন সাড়ে ৯ হাজার হজযাত্রী ‘আমরা প্রস্তুত, পরীক্ষা নিও না’ হুঁশিয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উপন্যাসে মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীত তুলে ধরেন তিনি

ভারতে ১৬ পুলিশের যাবজ্জীবন ৪২ মুসলমানকে হত্যার দায়ে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ভারতের উত্তরপ্রদেশের মেরুত জেলায় ১৯৮৭ সালে ৪২ জন নিরস্ত্র মুসলমানকে হত্যার দায়ে দেশটির অবসরপ্রাপ্ত ১৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দিল্লি হাইকোর্ট।

নিম্ন আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে বুধবার বিচারপতি এস মুরালিধর এবং বিনোদ গুয়েলের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। দীর্ঘ ৩১ বছর পর নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের বিচারকে ন্যায়বিচার বলে অভিহিত করেছেন নিহতদের স্বজন ও মানবাধিকার কর্মীরা।

নিরস্ত্র ও নিরপরাধ ৪২ জন মুসলমানকে হত্যা করে লাশগুলোকে খালে ভাসিয়ে দেয়ার দায়ে ওই কর্মকর্তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

এটি ছিল ১৯৮৭ সালে মেরুত জেলায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ একটি ঘটনা। পুলিশের ওই সশস্ত্র হামলাকে সুনির্দিষ্ট হত্যাকাণ্ড বলে আখ্যা দেন বিচারকেরা।

২০১৫ সালে নিম্ন আদালত উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার এই কর্মকর্তাদের সাক্ষ্যপ্রমাণের ঘাটতির কারণ দেখিয়ে খালাস দিয়েছিল। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ এই রায়কে বাতিল করে দিয়ে বলেন, তারা ‘নিরস্ত্র ও অসহায় মানুষকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছিল’।

প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানায়, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অপহরণ, হত্যা ও প্রমাণ ধ্বংস করার দায়ে আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করেছে। শুরুতে এ ঘটনায় অভিযুক্তের সংখ্যা ছিল মোট ১৭ জন।

তাদের মধ্যে বিচার চলাকালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। কোর্টে প্রমাণ হিসেবে জমা দেয়া ভয়াবহ ছবিতে দেখা যায়, ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশি পাহারায় মুসলমানরা সারিবদ্ধভাবে হাঁটু গেড়ে বসে আছে, আর তাদের দিকে বন্দুক তাক করে রাখা হয়েছে। এই ঘটনা ‘হাসিমপুরার গণহত্যা’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুকরিয়া মাহফিল ৫ নভেম্বর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ