বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ।। ৫ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
আ.লীগের সব অফিস বন্ধ করতে ভারতকে আহ্বান বাংলাদেশের খুলনায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রশিক্ষণ সভা মুসা আল হাফিজের সৃষ্টি ও দৃষ্টি ডাকসুতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ২৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা ফরিদপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন মুফতি রায়হান জামিল কুমিল্লা-৩ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর গণসংযোগ কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে মাওলানা আতাউল্লাহ আমীনের ব্যাপক গণসংযোগ চান্দিনা থানায় কওমি মাদ্রাসা সংগঠনের উদ্যোগে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মাওলানা যাইনুল আবিদীনের মৌলিক সিরাত গ্রন্থ ‘আমাদের নবীজি’ বাজারে পিআরের পক্ষে জনমত তৈরিতে পক্ষকালব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা পীর সাহেব চরমোনাইয়ের

কুরবানির পশু বনাম মনের পশু: একটি বিভ্রান্তির নিরসন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ত্বরিকুল ইসলাম
রাজনৈতিক বিশ্লেষক

কুরবানির পশু নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যে একটা জঘন্য বিভ্রান্তি বিরাজ করে। অর্থাৎ, বনের পশু কুরবানি দেওয়ার সঙ্গে মনের পশুকেও কোরবানি দেওয়ার কথা বেশ বলতে শুনি।

অনেকেই কুরবানির ঈদবিষয়ক ছড়া লেখার সময় অনুপ্রাসের ঝঙ্কার দেখাতে গিয়ে অজ্ঞতাবশত বনের পশুর সাথে মনের পশুকেও কুরবানি দিয়ে বসে থাকেন, যা কুরবানির মূল তাৎপর্য, ইতিহাস ও পবিত্রতার বিকৃতি এবং অবমাননা। এমন ভাবনা অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর।

এমনকি দুঃজনকভাবে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এমন বিভ্রান্তি থেকেই তার ‘শহিদি ঈদ’ কবিতায় লিখেছিলেন: ‘মনের পশুরে করো জবাই / পশুরাও বাঁচে, বাঁচে সবাই / কসাইয়ের আবার কুরবানি।’

নজরুল যা বুঝাতে চেয়েছেন এই পঙক্তিগুলোতে, তা হলো: মনের পশুকে কুরবানি দেওয়া হোক। এবং বনের পশুকে জবাই না করে বাঁচতে দেওয়া হোক। আর যারা গরু বা পশু জবাই করে কুরবানি দেয়, তাদের তিনি ব্যঙ্গ করেছেন। নজরুলের কাছ থেকে এমনটা ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত!

প্রকৃতপক্ষে মনের পশুর সাথে কুরবানির পবিত্র পশুর কোনো সম্পর্ক নাই। মনের পশুত্ব মানে নফস বা খারাবি বা রিপুবিশেষ; প্রতীকী অর্থে আমরা ‘মনের পশু’ বলি। অথচ আল্লাহ তায়ালা আমাদের পিতা হযরত ইবরাহিম আ.-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন তার সবচে প্রিয় বস্তু আল্লাহর জন্য কুরবানি করতে।

আমরা জানি, তিনি তার প্রিয় বস্তুকে কুরবানি দিয়েছিলেন; কিন্তু আল্লাহ তায়ালার অশেষ কুদরতে তার প্রিয় পুত্রের বদলে জান্নাতি দুম্বা কুরবানি হয়ে যায়। তাহলে এখানে কুরবানির ইতিহাসে মনের পশুর প্রসঙ্গ কীভাবে আসে আমি জানিনা।

ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিন্তা আর নয়-  ক্লিক 

মনের প্রতীকী পশু তো আপনার আমার প্রিয় বস্তু হতে পারেনা, বরং এটা অপবিত্র ও পরিত্যাজ্য একটা বিষয়। আর কুরবানির পশু হলো অত্যন্ত পবিত্র ও প্রিয় একটি বস্তু, যা আল্লাহকে উৎসর্গ করার জন্য প্রস্তুত করা হয়।

তাহলে কি আমরা প্রিয় ও পবিত্র কুরবানির পশুর ওপর নিজের মনের ঘৃণিত পশুত্বকে আরোপ করে কুরবানির পশুর পবিত্রতা ক্ষুণ্ন করছি না? এভাবে আল্লাহর প্রতি নিজের কুরবানি বা উৎসর্গকে কলুষিত করছি না?

আর তাছাড়া মনের পশুত্বকে দমন করতে হয় নিজেকে পরিশুদ্ধ করার জন্য। এর সাথে আল্লাহর প্রতি কুরবানির পবিত্র পশু উৎসর্গ করার কোনো ন্যূনতম সম্পর্ক নেই।

আর হ্যা, কুরবানি দিতে হয় একমাত্র আল্লাহর ‘নামে’। বান্দার ‘পক্ষ’ থেকে আল্লাহর প্রতি কুরবানি দেওয়াটাই নিয়ম, কিন্তু আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো ‘নামে’ কুরবানি নয়। এ ব্যাপারে কথা বলার সময় সতর্ক থাকা জরুরি।

ওজনে বিক্রি হচ্ছে কুরবানির পশু

-আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ