বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১৩ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
দেশকে বিএনপি তিনবার ও আ.লীগ একাধিকবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিল: চরমোনাই পীর টেকসই গণতন্ত্র, সুশাসন ও জবাবদিহিতা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় : মাসুদ সাঈদী আফগান শান্তি আলোচনা ভেঙে যাওয়ার কারণ ভারত: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অবৈধ মোবাইলের ব্যবহার বন্ধ করতে চালু হচ্ছে এনইআইআর সিস্টেম ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বিমানের সফল উড্ডয়ন বাংলাদেশে সৌদি সরকারের পাঠানো কোরবানির মাংস বিতরণ শুরু ‘জুলাই সনদ পাস না হলে শহীদদের আত্মত্যাগ ব্যর্থ হবে’ এআইতে মানুষের অংশীদারত্বই হবে সবার মূল শক্তি: লিংকডইন সিইও জামিয়া দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুজালা ও আবনা সম্মেলন কাল প্রান্তিক মানুষদের পাশে বিত্তশালীদের দাঁড়ানোর আহ্বান ধর্ম উপদেষ্টার

মসজিদে কেউ এতেকাফ না করলে এলাকার সবার গুনাহ হয়?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: মহিমান্বিত রমজান মাসের শেষ দশক মসজিদে এতেকাফ বা অবস্থান করা সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া। আরবি ‘এতেকাফ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ অবস্থান করা, স্থির থাকা, কোনো স্থানে আটকে পড়া বা আবদ্ধ হয়ে থাকা।

রমজানের শেষ দশকে যদি এলাকা বা মহল্লার মসজিদে কেউ এতেকাফে না বসে তাহলে সবার গুনাহ হবে।

প্রতিবছর রমজান মাসের শেষ দশক রাসুলুল্লাহ সা. নিয়মিতভাবে মসজিদে এতেকাফ করতেন এবং সাহাবায়ে কিরামও এতেকাফ করতেন।

নবিজি এতেকাফের এত বেশি গুরুত্ব দিতেন যে, কখনো তা ছুটে গেলে ঈদের মাসে আদায় করতেন। হজরত আয়েশা রা. বলেছেন, ‘রাসুলুল্লাহ সা. প্রতি রমজানের শেষ দশক মসজিদে এতেকাফ করতেন। এ আমল তাঁর ইন্তেকাল পর্যন্ত তিনি করেছেন।নবি করিম সা.-এর ওফাতের পর তাঁর বিবিগণও এ নিয়ম পালন করেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)

আর এ জন্যই শরিয়তে এতেকাফকে সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কেফায়া বলা হয়েছে। তথা এমন সুন্নাত যা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে যে কেউ এতেকাফ করলে সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু গ্রামের বা পাড়া-মহল্লার কেউ এতেকাফ না করলে সবাই গুনাহগার হবে।

হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, ‘রাসুলুল্লাহ সা. এক বছর এতেকাফ করতে পারেননি, পরবর্তী বছর তিনি ২০ রাত ইতিকাফ করেন।’ (তিরমিজি)

হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, ‘নবি করিম সা. প্রতি রমজান মাসের শেষ ১০ দিন এতেকাফ করতেন। তারপর যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেন, সে বছর ২০ দিন এতেকাফ করেন।’ (বুখারি)

রমজান মাসের শেষ ১০ দিন এতেকাফ করা সুন্নত এবং এর ফজিলত অপরিসীম। নবি করিম সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের শেষ দশক এতেকাফ করবে, তার জন্য দুই হজ ও দুই ওমরার সওয়াব রয়েছে।’ (বায়হাকি)

তিনি আরও বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এক দিনের এতেকাফ করল, তার ও দোজখের মধ্যখানে আল্লাহ এমন তিনটি পরিখা তৈরি করে দেবেন, যার একটি থেকে অপরটির দূরত্ব হবে পূর্ব ও পশ্চিমের দূরত্বেরও বেশি।’ (তিরমিজি)

কোনো কোনো এলাকায় দেখা যায়, রমজানের শেষ দশ দিনে এলাকাবাসী কেউ এতেকাফ না করলে অন্য এলাকা থেকে কোনো দরিদ্র ব্যক্তিকে খানা ও পারিশ্রমিক দিয়ে এতেকাফ করানো হয়।

এমন করলে এলাকাবাসী সুন্নাত তরকের গুনাহগার হবে। এতেকাফকালীন দিনগুলোর পারিশ্রমিক নেওয়াও জায়েয হবে না। আর এতেকাফের জন্য মসজিদের এক কোণকে বেঁচে নেয়া উত্তম।

রমজান মাসের শেষ দশ দিন এতেকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়াহ। যদি কোনো মসজিদে এক জনও ইতেকাফে বসে তাহলে এলাকাবাসী সুন্নত তরকের গুনাহ থেকে বেঁচে যাবে। আর যদি একজনও এতেকাফ না করে তাহলে ঐ এলাকার সবাই গুনাহগার হবে।

সূত্র: হেদায়া, ফাতহুল কাদীর ২/৩০৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪৪২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬৭; ইলাউস সুনান ১৬/১৭২-৭৩; রদ্দুল মুহতার ৬/৫৫।

আরো পড়ুন- ফিতরা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা চাই


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ