শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

‘আদালত থেকে বের হয়ে গেলেন, তবুও হিজাব খুললেন না তিনি’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মাদ
আওয়ার ইসলাম

আদালত ছাড়লেন কিন্তু হিজাব খুললেন না তিনি। এই ঘটনা ইতালির একটি আঞ্চলিক আদালতের। শুনানি চলাকালে বিচারক জিয়ানকার্লো মোজজারেলি মুসলিম আইনজীবী আসমে বেলফাকির’কে তার মাথার হিজাব খুলতে বলেন। অন্যথায় তাকে আদালতের কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। তিনি বেরিয়ে আসেন তবুও হিজাব খুললেন না।

সোমবার বার্তা সংস্থা আনদোলু এজেন্সিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে আসমে বেলফাকির বলেন, ‘ওই মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সকল আইনজীবিদের সঙ্গে আমিও আদালতের কক্ষে প্রবেশ করি। হঠাৎ বিচারক বলতে শুরু করল: ‘আপনি কি খুলতে পারেন?’ তিনি হিজাবের কথা উল্লেখ করেনি এবং আমাকে দিকে তাকায়ও নি। আমি ভেবেছিলাম তিনি কাউকে তার বা তাদের কোট খোলার জন্য বলছে। আমি কল্পনাও করতে পারছিলাম না যে তিনি আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছে। তারপর আমি তার দিকে তাকালাম এবং বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারলাম। আমি অবাক হয়ে গেলাম এবং তার কাছে জিজ্ঞেস করলাম, আমার হিজাবের কথা বলছেন?’

বিচারক বললো, ‘আমার কথা শেষ হওয়ার পরক্ষণই তিনি বললেন,  ‘হ্যাঁ, আপনি যদি এই আদালতে থাকতে চান, তবে আপনাকে বাধ্যতামূলকভাবে এটি অপসারণ করতে হবে।’

‘আমি জবাবে তাকে বলেছিলাম, ‘আমি এটা খুলতে যাচ্ছি না। আমি বাইরে যাচ্ছি।’ বলেন আসমে বেলফাকির।

তিনি জানান, বের হওয়ার জন্য যেই মাত্র তিনি দরজা খুলেছিলেন, সেই মুহূর্তে বিচারক উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই এটি করা হয়েছে।’

মুসলিম এই আইনজীবী বলেন, ‘এই প্রেক্ষাপটে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে বিচারকের মন্তব্য শুনেই সত্যিই আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছিল। শিক্ষানবিশ হিসেবে আমি সেখানে কেবল শিখতে গিয়েছিলাম- কিভাবে আইনের প্রয়োগ করা উচিত। আমার ধর্মের কারণে আমাকে অপমান করা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত আমি জানি না।’

‘আমি সেই বিচারক সম্পর্কে অনেক কিছু শুনেছি; তার কার্যবিবরণী এবং তার ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা। আমি নিশ্চিত যে, সে আর কখনো কাউকে তার হিজাব খুলে ফেলার জন্য বলবে না, কারণ হিজাব পরিধানের মাধ্যমে কেউ তার সংস্কৃতিকে অপমান করছে না।’, বেলফাকির কথা।

বেলফাকির বলেন, বিচারকের জানা উচিত যে, কেন তিনি হিজাব পরিধান করেছেন এবং এটি বিচারিক শুনানি বা শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে তার দক্ষতাকে প্রভাবিত করছে না।

তিনি বলেন, ‘যেহেতু এটি অন্যদের নেতিবাচক ভাবে প্রভাবিত করছে না। তাই এই ক্ষেত্রে, আইনের উচিৎ হবে মানুষকে ও তাদের ধর্মের স্বাধীনতা রক্ষা করা।’ সূত্র : ইকনা


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ