সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
গোপালগঞ্জে ট্রাকে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় নিহত আবুল কালামের দাফন সম্পন্ন বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম বৈঠক চলছে ২২ ঘণ্টা পর উত্তরা-মতিঝিল রুটে চলল মেট্রোরেল  দক্ষিণ চীন সাগরে আধাঘণ্টার ব্যবধানে মার্কিন যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনের কাজে বাধা আছে ধ্বংসস্তূপে লুকিয়ে থাকা অবিস্ফোরিত বোমা ইউরোপ জমিয়তের নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হলো ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা হামলায় নিহতদের স্মরণে কর্মসূচি দিলো জামায়াত কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে সহায়তায় ঢাকায় তুরস্কের বিশেষজ্ঞ দল

ভারতের সব মাদরাসা বন্ধে মোদিকে শিয়া নেতার চিঠি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ভারতের সব মাদরাসা তুলে দিয়ে সেগুলিকে দেশের চলতি শিক্ষা ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন উত্তরপ্রদেশের শিয়া সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন ওয়াসিম রিজভি।

প্রধানমন্ত্রী মোদি ছাড়াও চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং ক্যাবিনেট সচিবকেও।

শিয়া নেতা রিজভি, উত্তরপ্রদেশ মাদরাসা বোর্ড ও দেশের অন্য সব মাদরাসা বোর্ড তুলে দিতে বলেছেন। তার দাবি, দেশের গ্রাম-শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা মাদরাসা, ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্রগুলি কীভাবে চলছে, সে ব্যাপারে এখনই তদন্ত হোক।

কেননা ‘মুসলিম মৌলবীদের’ প্রভাবে এই মাদরাসাগুলিতে মুসলিম পড়ুয়াদের ভ্রান্ত, বিকৃত ধর্মীয় পাঠ দেওয়া হচ্ছে, যার ফলে ওরা সমাজে এগিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে পিছিয়ে থাকছে এবং দেশ গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারছে না।

চিঠিতে রিজভি লিখেন, উত্তরপ্রদেশে শিয়া ওয়াকফের জমিতে বেআইনি ভাবে স্বীকৃতিহীন মাদরাসা চলতে থাকলে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সেগুলি বন্ধ করে দিতে শিয়া ওয়াকফ সম্পত্তির দেখভাল করা কেয়ারটেকারদেরও নির্দেশ পাঠিয়েছেন তিনি।

রিজভির মতে, মাদ্রাসাগুলির মুসলিমদের মূলস্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা, মৌলবাদী ভাবনাচিন্তা ছড়ানোর ইতিহাস আছে। ব্রিটিশ শাসনেও মনে করা হত, মাদরাসাগুলি সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরির ঘাঁটি।

তিনি বলেন, ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষার বদলে মাদ্রাসাগুলিতে সেকেলে, পিছিয়ে পড়া, মধ্যযুগীয় ধ্যানধারণা দেওয়া হয় যা পড়ুয়াদের ধর্মীয় মৌলবাদ, কট্টরপন্থা, ধর্মীয় গোঁড়ামির দিকে ঠেলে দেয়, সন্ত্রাসবাদী তৈরি করে।

পাকিস্তানি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া নানা সংগঠনের অর্থে এসব মাদ্রাসা চলছে বলেও দাবি করেন রিজভি।

তিনি এমন প্রস্তাবও দিয়েছেন যে, মাদ্রাসাগুলি সংখ্যালঘু মন্ত্রকের আওতার বাইরে এনে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনে ফেলা হোক, সেগুলির নিয়ন্ত্রণ থাকুক সরকারের হাতে।

সুত্র: ‍এবিপিএন কলকাতা

এসএস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ