আওয়ার ইসলাম: পরকীয়া এ যুগের নতুন মহামারি। যা অবাধেই চলছে এবং সংসারে সৃষ্টি হচ্ছে ফাটল। অতচ ছোটখাট কিছু বিষয়ে সচেতন হলেই সম্ভব এ মহামারিকে রোধ করা। আসুন দেখে নেই বিষয়গুলো।
আচরণ: স্ত্রীর সাথে ভালো আচরণ করুন। অনেকে স্ত্রীর সাথে দাসির মতো আচরণ করতেই পছন্দ করে এটা অনুচিত। সে আপনার লাইফ পার্টনার। সুখ দুঃখের সঙ্গী। তার সঙ্গে ভুল ভ্রান্তি এড়িয়ে সুন্দর আচরণ করতে হবে। স্ত্রীদের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য স্বামীর পরকীয়া থেকে বাঁচাতে।
ছোট-খাটো ভুল ভ্রান্তির জন্য বকাঝকা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এক শ্রেণির স্বামী আছেন যারা ছোট খাটো ভুল ভ্রান্তির জন্য স্ত্রীকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজ করে। এতে স্ত্রীর মন থেকে আসতে আসতে স্বামীর প্রতি ভালোবাসা উঠে যায়।
মারধর: আমাদের সমাজে একদল নির্লজ্জ পুরুষ আছে যারা কথায় কথায় স্ত্রীর গায়ে হাত তুলে। স্ত্রীকে নির্মমভাবে প্রহার করে। যা ইসলাম ও দেশের আইন কোনো ভাবেই সমর্থন করে না। এতে স্ত্রীর মন খারাপ হয় এবং তা শেয়ার করার জন্য ভিন্ন সঙ্গী খুঁজতে থাকে।
তাই স্ত্রী কোন ভুল করলে আপনি মারধর না করে সংশোধন করে দিন। ভালোবাসার সাথে বুঝিয়ে দিন। কারণ দিন শেষ আপনাকে তার সাথেই রাত কাটাতে হবে, তার হাতের রান্নাই আপনাকে খেতে হবে। তাকেই দিয়েই আপনার যৌন বাসনা পূরণ করতে হবে।
যৌন শক্তি: স্বামী স্ত্রীর স্বাভাবিক সম্পর্কের জন্য যৌন আচরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে স্বামীকে স্ত্রীর যৌন চাহিদার প্রতি অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। তাকে যৌন চাহিদা ও পরিতৃপ্তির উপর লক্ষ্য রাখতে হবে। এ সময়ে তরুণদের হাতে অশ্লীল বস্তু সহজলভ্য হওয়ায় অনেকেই বিয়ের আগে যৌনক্ষমতা হ্রাস করে ফেলেন যা সংসারে মারাত্মক ক্ষত হয় দেখা দেয়।
অভিজ্ঞ ডাক্তারদের মতে পরকীয়া বা স্ত্রীর বিপথগামী হওয়ার সূচনা এখান থেকেই হয়। তাই সংসারে শান্তি চাইলে বিয়ের আগে নিজেকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো বজুর্গের পরামর্শ অনুযায়ী চলা যেতে পারে।
ঘুরাফেরা: সময় সুযোগ পেলে আপনার স্ত্রীকে কোথাও ঘুরতে অথবা বেড়াতে নিয়ে যান। নারীরা এটি বেশ উপভোগ করে। সারাদিন চার দেওয়ালের ভেতরে বসে থাকতে আপনারও নিশ্চয় ভালো লাগবে না?
উপহার: মাঝে মধ্যে আপনার স্ত্রীকে উপহার সামগ্রী কিনে দিন। হোক সেটা কম মূল্যের। কিনে দিতে পারেন একটি গোলাপ ফুলও। নারীরা এতে বেশ আনন্দিত হোন।
সাজ-সজ্জা: নারীরা যেভাবে সেজেগুজে পরিপাটি হয়ে থাকতে পছন্দ করে সেই তুলনায় পুরুষেরা পিছিয়ে। সাজ-সজ্জা নারীদের কাজ না ভেবে আপনার স্ত্রীর জন্য আপনিও সাজ সজ্জা করুণ। আপনার স্ত্রীর সেজে থাকলে আপনার যেমন ভালো লাগে, আপনি সেজে থাকলে আপনার স্ত্রীর কাছেও ভালো লাগবে।
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা: সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে চেষ্টা করুণ। ঘামের দুর্গন্ধ, লজ্জাস্থানসহ শরীরের অন্যান্য অংশের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিন। আপনার অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতা তাদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
মুখের দুর্গন্ধ: আপনার মুখের দুর্গন্ধের দিকে নজর দিন। পুরুষদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা ধূমপানে আসক্ত। আপনার এই আসক্ত থাকলে স্ত্রীর কাছে ঘেষার পূর্বে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে নিন। নারীদের মধ্যে অনেকেই আছে যাতা আতরের ঘ্রাণই সহ্য করতে পারে না, তাহলে ভাবুন মুখের দুর্গন্ধ তাদের মনে কিরকম বিরূপ ফেলে।
যোগাযোগ: কাজের তাগিদে বাইরে অবস্থান করলেও স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করুণ। দূরে থাকলে কাজের কাজে স্ত্রীর সাথে মোবাইলের মাধ্যমে কথা বলুন। গল্প গুজব করুণ। এতে স্ত্রীর একাকিত্বভাব দূর হবে। আপনি দূরে থাকলেও সে আপনার সংস্পর্শে থাকে। আপনার ভালোবাসা ও তার প্রতি আপনার আগ্রহ প্রকাশ পাবে।
ধর্ম ও নৈতিকতার শিক্ষা: আপনার স্ত্রীকে ধর্মীয় শিক্ষা দিন। দাম্পত্য জীবন সম্পর্কে ও স্বামী স্ত্রীর দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে যাতে ধর্মীয় জ্ঞান লাভ করতে পারেন সেরকম ভালো মানের বই পুস্তক কিনে দিন।
আপনার স্ত্রী আপনার হালাল বিনোদনের সেরা মাধ্যম। আপনার জান্নাত লাভের সহযোগী। তাই আপনার দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে তার চাহিদা গুলো পূরণ করা। সংসারের সুখ শান্তি হাঁসি আনন্দ বজায় রাখতে আপনার ভূমিকা অপরিসীম। টাকা সংসারে স্বচ্ছলতা এনে দিতে পারে কিন্তু শান্তি নয়। সূত্র: ইন্টারনেট
পোস্টটি উপকার মনে করলে অবশ্যই শেয়ার করুন