সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ৭ পৌষ ১৪৩২ ।। ২ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ ঢাকা-৮ আসনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস প্রার্থী ফয়সালের মনোনয়ন সংগ্রহ শহীদ ওসমান হাদির নামে রাখা হলো যমজ সন্তানের নাম উঠানে বাবার লাশ, সম্পত্তি ভাগাভাগির সালিশে ব্যস্ত ৮ সন্তান রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে অপরাধীরা যেন পাশের দেশে আশ্রয় না পায় প্ল্যাটফর্ম থেকে তরুণীকে ট্রেনে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, ভারতীয় সেনাসদস্য গ্রেপ্তার নীরবে মদের বিক্রি বাড়াচ্ছে সৌদি আরব গ্রিস উপকূলে নৌকা থেকে ৪৩৭ জন বাংলাদেশি অভিবাসী উদ্ধার ইসরায়েলের কারাগারে কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ কোরআনের হাফেজদের পাশে থাকার ঘোষণা বিএনপি প্রার্থী হাবিবের

দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন উদ্বোধন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : আজ (রোববার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন উদ্বোধন করেছেন।  সাবমেরিন ক্যাবলটির ল্যান্ডিস্টেশন চালু হওয়ায় বাংলাদেশ নতুন করে ১ হাজার ৫০০ গিগাবাইটের (জিবি) বেশি ব্যান্ডউইডথ পাবে।

সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার গোড়া আমখোলাপাড়ায় এই ল্যান্ডিং স্টেশন উদ্বোধন করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নব্বইয়ের দশকে সাবমেরিন কেবল যখন প্রথম দক্ষিণ এশিয়ায় এলো তখন বিনা পয়সার এই ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ ছিলো।এজন্য প্রস্তাবও বাংলাদেশকে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন বিএনপি সরকার সে প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। আমরা বিনাপয়সায় সংযোগটা পেলাম না।কিন্তু দেশের স্বার্থে তাতে সংযুক্ত হলাম।

শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজার দিয়ে আসা বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন কেবল দিয়ে পুরো বাংলাদেশের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না বলে আওয়ামী লীগ সরকারই দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। আজ আমাদের সৌভাগ্য যে সেটা উদ্বোধন করতে পেরেছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ডাক ও টেলি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদ। আর কলাপাড়ায় ছিলেন শ্যাম সুন্দর সিকদার।

২০১৩ সালের শেষের দিকে ১০ একর জমির ওপর ৬৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন। প্রকল্পটির কাজ শেষ করার পর ২০১৭ সালের মার্চ মাস থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার পরীক্ষামূলক শুরু হয়।

সাগরের নিচ দিয়ে ইউরোপ থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে ২৫ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যাবল লাইন বঙ্গোপসাগরের উপকূলে কুয়াকাটার স্টেশন থেকে মাত্র সাড়ে ৯ কিলোমিটার দূরত্বে পৌঁছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ল্যান্ডিং স্টেশনের সঙ্গে তা সংযোগ স্থাপন করা হয়। সাবমেরিন ক্যাবলটির ল্যান্ডিস্টেশন চালু হওয়ায় বাংলাদেশ নতুন করে ১ হাজার ৫০০ গিগাবাইটের (জিবি) বেশি ব্যান্ডউইডথ পাচ্ছে। নতুন এ সাবমেরিন ক্যাবলের মেয়াদকাল ২০ থেকে ২৫ বছর।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ