বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

রোহিঙ্গা নিয়ে কমিশন গঠন হচ্ছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ruhinga

 

আওয়ার ইসলাম : মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সম্প্রদায় সম্পর্কিত একটি কমিশন গঠন করবে দেশটির সরকার যার প্রধান হবেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান। এই কমিশন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রতি সহিংসতা ও তাদের ঘিরে দেশটিতে যে সংকট রয়েছে তার সমাধান খোঁজার জন্য কাজ করবে।

তবে, নতুন এই কমিশন রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ মিয়ানমারের মধ্যে চলমান সংকট নিয়েও কাজ করবে কিনা সেটি এখনো পরিষ্কার নয়।

জাতিসংঘের ভাষায় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষজন বিশ্বের সবচাইতে নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর একটি। মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বাস, যারা পৃথিবীর কোন দেশের নাগরিক নয়।

দেশটি রোহিঙ্গাদেরকে তার নাগরিক মনে করে না। বরং মিয়ানমার মনে করে তাদের আদি আবাস বাংলাদেশ। এমনকি রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহারেও দেশটির সরকারের আপত্তি রয়েছে।

দেশটির গনতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সাং সুচি বহুদিন যাবত রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোন মন্তব্য করেন নি। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এই নেত্রী রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানে কথা বলবেন সেটা অনেকেরই প্রত্যাশা ছিলো। তবে এখন এই কমিশন গঠন তার ভূমিকা পরিবর্তনের ইংগিত দেয়।

এতদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের প্রতি অং সাং সুচির নিতি ছিলো সমস্যার মোকাবেলা নয়, বরং তা রাখাইন প্রদেশেই সীমাবদ্ধ রাখা। একটি কমিশন গঠনের এই সিদ্ধান্ত অনেককেই অবাক করেছে বলে তিনি জানান।

কফি আনানকে এর প্রধান করার ইংগিত হলো অং সাং সুচি সম্ভবত রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে নতুন চিন্তা ধারার কথা অন্তত শুনতে রাজি হয়েছেন।

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে বৌদ্ধদের হাতে নির্যাতনের শিকার বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে সহিংসতার মুখে পালিয়ে সীমান্ত পার হয়ে তাদের অনেকেই বাংলাদেশেও প্রবেশ করেছে।

বাংলাদেশে কক্সবাজার এলাকাতেই তাদের একটা বড় অংশ বাস করেন। এছাড়া চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়িতেও কিছু রোহিঙ্গা বসবাস করছেন। সরকারের রেজিস্টার্ড ক্যাম্পগুলোতে ৩৩ হাজারের মতো রোহিঙ্গা বাস করে।

কিন্তু বলা হয় বাংলাদেশে তাদের মোট সংখ্যা পাঁচ লাখের মতো। বাংলাদেশে তাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি নেই এবং পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার প্রসঙ্গটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বহুদিন যাবত একটি ইস্যু হয়ে রয়েছে।

ওএস


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ