বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
খেলাফত আন্দোলনের সাথে সমমনা ইসলামি দলসমূহের বৈঠক অনুষ্ঠিত কুরআনের মহব্বত থেকেই আমার রাজনীতিতে আসা: শায়খ নেছার আহমদ জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: আখতার হোসেন ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ নাশরুস সীরাহ’র সীরাত প্রতিযোগিতা, চলছে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয়: তীব্র নিন্দা ধর্মীয় নেতাদের মহাসমাবেশে আসার পথে আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে শায়খে চরমোনাই  ইবনে শাইখুল হাদিস এর আগমন উপলক্ষে শৈলকুপায় ব্যাপক প্রস্তুতি পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বেতুয়া হুজুরের বাড়িতে ইসলাহি মাহফিল

উত্তাল কাশ্মীর : সংঘর্ষে নিহত ৮

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

Kasmir-01ডেস্ক নিউজ : কাশ্মীর উপত্যকা উত্তাল হয়ে উঠেছে। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত কাশ্মীরি জঙ্গিদের ‘পোস্টার বয়’ বুরহান মুজাফফর ওয়ানির শেষকৃত্যকে কেন্দ্র করে অশান্ত উপত্যকায় আজ শনিবার আটজন নিহত হয়েছেন। উত্তেজিত জনতা তিনটি থানায় আগুনও লাগিয়ে দেন। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা উপত্যকায় কারফিউ জারি থাকবে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৯০ জনের বেশি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।

বছর দু-এক ধরে বুরহান ওয়ানি কাশ্মীরি জঙ্গিদের মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। দক্ষিণ কাশ্মীরের ট্রাল এলাকার ২২ বছরের এই সুদর্শন যুবক হয়ে ওঠেন হিজবুল মুজাহিদ্দিনের স্বঘোষিত কমান্ডার। তাঁরই সঙ্গে অন্তত আরও ছয় যুবক ঘর ছাড়েন। পরে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে তাঁদের সশস্ত্র ছবি ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল শুক্রবার গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে নিরাপত্তারক্ষীরা দক্ষিণ কাশ্মীরের কোকরনাগ এলাকায় হানা দেন। বুরহানের সঙ্গে তাঁর দুই সঙ্গীও এই হানায় নিহত হন। রাজ্য সরকার এই জঙ্গির মাথার দাম ১০ লাখ রুপি ঘোষণা করেছিল।

আজ বুরহান ও তাঁর সঙ্গীদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। গোলমালের আশঙ্কায় রাজ্য প্রশাসন আগে থেকেই উপত্যকায় কারফিউ জারি করেছিল। হিন্দু তীর্থযাত্রীদের অমরনাথ যাত্রাও স্থগিত রাখা হয়। সামাজিক মাধ্যমের মধ্য দিয়ে যাতে গুজব ও হিংসা না ছড়ায়, সে জন্য গোটা উপত্যকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রাখা হয় শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়ক ও বারামুলা-বানিহাল রেলপথ। তবে শেষকৃত্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। ফলে আজ তাঁর নিজস্ব এলাকা ট্রালে বিপুল জনসমাগম হয়। সেখানে কিছু না হলেও দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামসহ বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজিত ও মারমুখী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালালে দুজনের মৃত্যু হয়। অন্য একজনের মৃত্যু হয় পানিতে ডুবে। পুলিশ জানায়, নিরাপত্তারক্ষীদের একটি শিবিরের ওপর স্থানীয় লোকজন আক্রমণ করলে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয়ে পুলিশকে গুলি চালাতে হয়। পালাতে গিয়ে নদীর পানিতে পড়ে ভেসে যায় একজন।

কাশ্মীরে কোনো জঙ্গির মৃত্যু হলে তার শেষকৃত্যকে ঘিরে সব সময়ই অশান্তি মাথাচাড়া দেয়। কখনো কখনো পুলিশ নিহত ব্যক্তির দেহ আত্মীয়দের হাতে তুলে না দিয়ে নিজেরাই শেষকৃত্য সম্পন্ন করে। বুরহানের ক্ষেত্রে কিন্তু প্রশাসন তা করেনি। কেন করেনি, সে বিষয়ে সরকার বা নিরাপত্তারক্ষীদের কেউ কিছু জানায়নি। যদিও শেষকৃত্যকে ঘিরে সৈয়দ আলি শাহ গিলানি, মীওয়াইজ ওমর ফারুকের মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা গোটা উপত্যকায় হরতালের ডাক দিয়েছিলেন। তাঁদের শুক্রবার থেকেই গৃহবন্দী করে ফেলা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা ইয়াসিন মালিককেও। কারণ, তিনি হুমকি দিয়েছিলেন বুরহানকে মারার প্রতিবাদে তিনি এক বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন।

কাশ্মীরের জঙ্গিবাদ পাকিস্তানি ও আফগানদের হাত দিয়ে শুরু হলেও ইদানীং বুরহানই হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কাশ্মীরি যুবকদের ‘হিরো’। সচ্ছল পরিবারের এই যুবকের বাবা সরকারি এক স্কুলের হেডমাস্টার। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের সাহায্যে বুরহান প্রায় দু বছর ধরে স্থানীয় যুবকদের অস্ত্র হাতে নিতে উৎসাহিত করছিলেন। নিরাপত্তারক্ষীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বুরহানের মৃত্যু জঙ্গিদের কাছে একটা বড় ধাক্কা।

আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর/ওএস


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ